ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লন্ডনের অনুষ্ঠান বাতিল নিয়ে নানা মুনির নানা মত। একটি মেইলের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছিল, যেখানে লেখা ছিল লন্ডনে একটি মহালয়ার অনুষ্ঠান থেকে ডোনা-কে না করে দেওয়া হয়েছে, কারণ সেই কমিটির অনেক সদস্য তেমনটা চেয়েছেন। সঙ্গে লেখা ছিল, বাদবাকি অনুষ্ঠান যেমন ছিল, তেমনই থাকছে। তবে কোথাও লেখা ছিল না, আরজি কর নিয়ে ডোনার বলা কথার প্রতিবাদে, এই নাচের অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন ডোনা। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘লন্ডনে আমাদের ৪-৫টা শো আছে। তার মধ্যে প্রথমটা হচ্ছে না। তাছাড়া আমাদের পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, প্রায় প্রতিদিনই শো আছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘পুজোর সময়ে কে কালচারাল প্রোগ্রাম (সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান) বাদ দেবে, কে নতুন জামা পরবে না, এটা তো নিজস্ব চয়েজ। লোকেরা যদি পছন্দ করে ভুল কথা বলতে, আমার সত্যিই কিছু করার নেই। কটা প্রোগ্রাম অবশ্যই ক্যানসেল হয়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে, সব ক্যানসেল হয়ে গেছে।’
ডোনা এর আগে জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনাকে মাথায় রেখে লন্ডনে বা কলকাতায় দুর্গাপুজোর কোনও অনুষ্ঠানেই শুধু বিনোদনমূলক হিসেবে পরিবেশনা করতে চাইছেন না তিনি বা তাঁর দল দীক্ষামঞ্জুরি। দুর্গাপুজোর চার দিন এমন কিছু অনুষ্ঠান করতে চান, যাঁর মধ্যে রয়েছে প্রতিবাদ কিংবা প্রার্থনা। এই কারণে, রবীন্দ্রনাথের ‘শাপমোচন’ বাদ দিয়ে সংযোজিত করা হয়েছে ‘তাসের দেশ’, যা সমাজবদলের ইঙ্গিতবাহী।
প্রসঙ্গত, বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের ডাকে এক নাচের অনুষ্ঠানে পৌঁছেছিলেন ডোনা, সেখানে তাঁকে আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন করলে বলতে শোনা যায়, ‘রেপ-টেপ সব জায়গায়ই হয়, কিন্তু বাংলার মতো এত প্রতিবাদ কোথায় হচ্ছে?’। তবে পরে তিনি নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমি প্রথমত একজন নারী, তারপর এক কন্যা সন্তানের মা। আমি পাগল নই যে রেপ-কে সমর্থন করব। বরং, আমি নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানিয়েছি।’
এর আগেই দীক্ষামঞ্জুরি একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেছিল তিলোত্তমায়। যাতে ছিলেন সানা গঙ্গোপাধ্যায়ও। এমনকী, থাকার কথা ছিল সৌরভেরও। তবে কলকাতা পুলিশ শেষ মুহূর্তে বাংলার মহারাজকে অনুমতি দেননি যোগদানের। তাই তিনি, প্রতিবাদ মিছিলের শেষে নির্যাতিতার জন্য বিচার চেয়ে মোমবাতি জ্বালান।