সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার মানুষের কাছে শুধু ভালোবাসা নয়, আবেগও। তবে শুধু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নয়, মানুষের কাছ থেকে একইভাবে ভালোবাসা পান বউ ডোনা আর মেয়ে সানাও। বিশেষ করে সৌরভের মুখ থেকে, তার পরিবারের গল্প শুনতে পছন্দ করেন সকলেই।
একটা বিষয় অনেকেই খেয়াল করে দেখেছেন, প্রকাশ্যে ডোনা-কে ‘ম্যাডাম’ বলে সম্বোধন করেন সৌরভ। আর ডোনা আবার সৌরভের নাম নেন না মোটেই। বলেন ‘দাদা’।
অনেকেরই প্রশ্ন ‘বরকে দাদা কেন’? যার জবাবে আজতক বাংলাকে ডোনা জানালেন, আসলে গোটা দেশের মানুষ তাঁকে ‘দাদা’ বলেই চেনেন। তাই পাবলিকের সামনে দাদা-টাই ডাকেন। এদিকে বাস্তবে কিন্তু ডোনা সৌরভকে ডাকেন ‘বাবা’ বলে। মেয়ে সানার জন্মের পর থেকেই নাকি, সৌরভকে ‘বাবা’ নামেই ডাকেন তিনি। ডোনার কথায়, ‘আমার বাবা বিপদে পড়ে যান। বুঝতে পারেন না কাকে ডাকছি। যদিও মেয়ের বুঝতে কোনও সমস্যাই হয় না।’
সৌরভ আর ডোনা পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাদে খুব ছোট থেকেই চিনতেন একে-অপরকে। বিয়েটা করেছিলেন সকলের অজান্তে। ১৯৯৬ সালের ১২ অগাস্ট আইনি বিয়ে হয়। শোনা যায়, বিয়ে করেই নাকি সৌরভ চলে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডে ম্যাচ খেলতে। তবে পরিবারের কাছে কিছুই গোপন থাকেনি। ম্যাচ চলাকালীন ফোনে বাবা বিয়ে নিয়ে প্রশ্নও করেন। তবে সেসব নিয়ে ফিরে কথা বলবেন বলে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামলেছিলেন সৌরভ।
এরপর অবশ্য দুই পরিবারের কেউই আর সেভাবে অসম্মতি জানাননি এই সম্পর্কে। ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একটি ওয়েডিং রিসেপশন রাখা হয় দুই পরিবারের তরফে। আর ২০০১ সালে সৌরভ আর ডোনার কোল আলো করে আসে তাঁদের মেয়ে সানা।
বিয়ের করেন যখন ডোনা, তখন সবেমাত্র কলেজে ফার্স্টইয়ার পাশ করেছেন। জানান, তিনি আর সেকেন্ড ইয়ারের পরীক্ষাই দিতে চাননি। ভেবেছিলেন পড়াশোনা ছেড়ে দেবেন। এদিকে মেয়ে জলদি বিয়ে করাতে বেশ রেগেছিলেন মা স্বপ্না রায়। মেয়েকে কষে ধমক লাগিয়েছিলেন পড়াশোনা ছাড়ার নাম শুনতেই। স্নাতক পাশ করেন মায়ের কারণেই। নাহলে হয়তো মাঝপথেই ছেড়ে দিতেন লেখাপড়া।
খুব জলদিই বড় পর্দায় আসছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক। আর দর্শকদের আশা তাতে তাঁর আর ডোনার প্রেম ও দাম্পত্যের ঝলকও পাওয়া যাবে। ২০২৪-এই ছবির শ্যুটিং শুরু হতে পারে বলে খবর রয়েছে। পরিচলানা করবেন রজনীকান্ত-কন্যা ঐশ্বর্য রজনীকান্ত। সৌরভের চরিত্রে থাকতে পারেন আয়ুষ্মান খুরানা।