আজ গোটা বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রে ডোনাল্ট ট্রাম্প। সব সমীক্ষা উলটে দিয়ে ফের একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে তিনি। এখন বিশ্ব রাজনীতিতে তিনিই ‘ট্রাম্প কার্ড’। কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ম্যাজিক ফিগার আগেই ছুঁয়ে ফেলেছন, ৪৭তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি পদে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ এখন সময়ের অপেক্ষা। আরও পড়ুন-মার্কিন ভোটের ফল কি 'ভালো' হল? ক্ষমতায় এলেই তো ভারতকে 'শাস্তি' দেবে বলেছিলেন ট্রাম্প!
আমেরিকায় ‘ফির এক বার ট্রাম্প সরকার’। গত কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে চোখ রেখেছিল ভারতও। ট্রাম্প ফিরতেই চনমনে সেনসেক্স। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ থেকে কুটনৈতিকরা হিসাব নিকাশ কষতে ব্যস্ত। গতবার মার্কিন নির্বাচন পরবর্তী ক্যাপিটাল হিংসায় নাম জড়ায় ট্রাম্পের, সেখান থেকে এই প্রত্যাবর্তন সত্যি কোনও সিনেমার চিত্রনাট্যের চেয়ে কম নয়।
ট্রাম্প গদিতে বসবার আগে, বাঙালির মস্তিষ্কে তাঁর বছর কয়েক আগের ভারত সফরের ফ্ল্যাশব্যাক। যখন তাঁর ভুল উচ্চারণ শুনে হাসির রোল উঠেছিল নেটপাড়ায়। বিশেষত, বাঙালির আবেগের জায়গায় খোঁচা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। স্বামী বিকেকানন্দকে সোজা ‘বিবেকামুন্ডন' বলে ফেলেছিলেন। সেই উচ্চারণ খোঁচার কথা স্মরণ করিয়ে এদিন কমেডিয়ান-অভিনেতা মীর ফেসবুকে লিখলেন, 'জিতেছেন ভালো কথা…কিন্তু ফের ভারতে এসে ‘বিবেকামুন্ডন' বললে রাগ করবো'।
মীরের সেই পোস্টে ভক্তদের প্রতিক্রিয়া উপচে পড়ছে। বেশিরভাগজন লিখেছেন, ‘একদম ঠিক কথা বলেছো দাদা’। কেউ লিখছেন, ‘মীর দাদা মনে হচ্ছে কষ্ট পাচ্ছে’। কারুর মতে, ‘সত্যি! ওটা নতুন কিছু না। আমরা পচ্চিমবঙ্গের মানুষ অনেক আবোল তাবোল শুনতে অভ্যস্ত। রাগ করিনা। মজা হয়। মনে হয় লাইভ মীরাক্কেল শুনছি।’
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি, বিশ্বজুড়ে করোনা থাবা বসানোর আগেই মোদীর বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত সফরে এসেছিলেন। মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘বন্ধু’র সংবর্ধনার খাসা আয়োজন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই জিভ-বিভ্রাট তৎকলীন মার্কিন রাষ্ট্রপতির। ভারতীয় শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে ট্রাম্পের সে এক ল্যাজে-গোবরে দশা। স্বামী ‘বিবেকানন্দ’, ‘বেদ’ এবং ‘শচীন তেণ্ডুলকরে’র মতো শব্দ উচ্চারণ করতে গিয়ে হোঁচট খান ট্রাম্প। সে-বার ক্রিকেট, বলিউড থেকে ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সব নিয়েই কথা বলেছিলেন ট্রাম্প।
লম্বা বক্তৃতার ফাঁকে ‘স্বামী বিবেকানন্দ’ বলতে গিয়ে ‘স্বামী বিবেকামুন্নন’, বেদের প্রসঙ্গ টেনে কথা বলার সময় ভেদাস (ইংরাজি উচ্চারণ) এর জায়গায় তিনি বলেন ‘ভেস্টাস’। মোদির প্রশংসা করতে গিয়ে চা-ওয়ালা উচ্চারণ হয়ে যায় ‘চি-ওয়াল্লা।’ এখানেই ইতি নয়। শচীনকে ‘সুচ্চিন তেণ্ডুলকর' এবং কালজয়ী ভারতীয় ছবি ‘শোলে’কে ‘সোজে’ বলে ফেলেছিলেন ট্রাম্প।