অমৃতা রাও ও আরজে আনমোলের ‘কাপল অফ থিংস’-র নতুন ভিডিয়ো এসেছে। যেখানে অমৃতাকে কথা বলতে শোনা গিয়েছে, কেরিয়ারে কোন কোন সিনেমার অফার ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। জানালেন ‘যশরাজ ফিল্মস’-র ইন হাউজ হিরোইন হওয়ার অফারও এসেছিল তাঁর কাছে।
অমৃতা জানালেন ‘নীল অ্যান্ড নিকি’ আর ‘বচনা হে হাসিনো’-র অফার এসেছিল তাঁর কাছে। তবে সিনেমায় চুমু খেতে হবে বলে কাজের অফার দেন ফিরিয়ে। ভিডিয়ো শুরু হয় অমৃতার ২০১১ সালের স্মৃতি দিয়ে। যেখানে তিনি কথা বলেন সিনেমা হলে শ্রদ্ধা কাপুরের ‘লাভ কা দি এন্ড’ দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। মনে প্রশ্ন উঠেছিল, আমাকে কেন এরকম পারিবারিক ছবির অফার দেয় না যশরাজ।
অমৃতা জানান, এর কয়েকমাস পরেই যশরাজ স্টুডিও থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। তাঁকে ইন হাউজ হিরোইন হওয়ার প্রস্তাব দেন আদিত্য চোপড়া। তবে, পরিষ্কার করে জানিয়ে দেন জেন ওয়াইয়ের কথা মাথায় রেখেই তাঁর ছবি। তাই তাঁর সিনেমায় কিসিং সিন থাকবে, থাকবে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত। অমৃতা কি এখন এই ধরনের চরিত্রে কাজ করতে চান, জানতে চান আদিত্য। সাথে জানান, অমৃতা যদি না চান তাহলে যেন শুধু ‘না’ লিখে মেসেজ করে, কোনও ধরনের ফর্মালিটি করার দরকার নেই।
অমৃতা জানান, তিনি যশরাজের সাথে কাজ করার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু বাধোবাধো লাগছিল পর্দায় ঘনিষ্ঠ হওয়া নিয়ে। বাড়ি ফিরে কথা বলেন সুরজ বারজাতিয়া আর আনমোলের সাথে। দু'জনেই তাঁকে পরামর্শ দেন, হৃদয়ের কথা শুনতে।
অমৃতা এরপর বুঝতে পারেন, তিনি এতদিন ধরে এটা চাই এটা চাই করে যেটা ভাবছিলেন, আসলে সেটা চানই না তিনি। আদিত্য চোপড়াকে মেসেজ করে জানান, ‘স্যার আমি খুব ভালো একটা সম্পর্কে আছি। আপনার অফার দারুণ, সম্মানের। কিন্তু আমি এটার পূর্ণ মর্যাদা দিতে পারব না।’ অমৃতার মনের দ্বিধা বুঝতে পেরেছিলেন আদিত্য চোপড়া। উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি। পরবর্তীতে তোমার উপযোগী কোনও চরিত্র থাকলে অবশ্যই জানাব।’
আনমোল আরও জানান, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রথম মানুষ আদিত্য চোপড়া যিনি প্রথম জেনেছিলেন তাঁর আর অমৃতার সম্পর্কের ব্যাপারে। অমৃতাও জানান, তিনি খুব সম্মান করেন আদিত্যকে।