ক্রমশও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। নেই কোনও বড় রিলিজ। এপ্রিল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হতে চলেছে তিলোত্তমার বেশ কিছু প্রেক্ষাগৃহ। ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্যে জারি হয়েছে নাইট কার্ফু। আগামী ৭ দিনের জন্য দিল্লিতে সম্পূর্ণ লকডাউন। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বাধ্য হয়েই তাই সাময়িক ভাবে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শহরের বেশ কিছু সিঙ্গেল স্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহের মালিক।
আনলক পর্ব থেকে বড় বাজেটের কোনও ছবি মুক্তি পায়নি। ফলে ব্যবসায় মন্দা। সেই সব ভাবনা চিন্তা করে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নবীনা, প্রিয়া, জয়া, বসুশ্রী, মেনকার মতো প্রেক্ষাগৃহ। এবিষয় কথা বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে ‘জয়া’ সিনেমার মালিক মনোজিৎ বণিক জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় থেকে কর্মীদের ন্যূনতম বেতন দিয়ে আসছেন তাঁরা। নিজেদের ব্যবসা কেউই বন্ধ রাখতে চায়না। রিলিজ নেই কোনো। তাই হলমুখী হচ্ছে না দর্শক। তবে সরকার হল খুলে রাখার নির্দেশ দিলেও, বিদ্যুতের বিল বা পৌরসভার করের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়নি বলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, নবীনা সিনেমা হলের মালিক নবীনের কথায়, এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে সংক্রমণ বাড়ছে। দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তাই সাময়িক ভাবে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি উন্নতি হলে খুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন। প্রিয়া প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত অবশ্য জানিয়েছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরে হল বন্ধ রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। বড় বাজেটের ছবি এলে তবেই হল খুলবে বলে জানিয়েছেন। কর্মীদের বেতন দিয়ে আর সাহায্য করতে পারবেন না বলে মনে করছেন তিনি।
মেনকা হলের মালিক প্রণব রায়ের কথায়, প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের কারণ হিসেবে অতিমারির থেকেও বড় বাজেটের ছবি মুক্তি না পাওয়াকে বড় কারণ হিসেবে রাখতে চান তিনি। তাঁর মতে, ‘সূর্যবংশী’, ‘থালাইভি’, ‘চেহরে’, ‘রাধে’র মতো বলিউড ছবির মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। এদিকে ‘গোলন্দাজ’, ‘কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’, ‘বেলাশুরু’র মতো বাংলা সিনেমাও এখনই মুক্তি পাচ্ছে না। যার ফলে দর্শকেরা হলমুখী হচ্ছেন না।