Flora Saini: 'আমার চোয়াল ভেঙে বলল আজ তোকে মেরেই ফেলব', প্রাক্তন লিভ-ইন পার্টনারকে নিয়ে বিস্ফোরক ফ্লোরা

লিভ ইন সম্পর্কে জড়িয়ে হয়ত শ্রদ্ধা ওয়াকারের মতোই পরিণতি লেখা ছিল তাঁর ভাগ্যেও! অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ফ্লোরা সাইনি, এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী।

ফ্লোরা সাইনি (ছবি-ইনস্টাগ্রাম)

বলিউডের অন্যতম ‘সেক্স সিম্বল’ ফ্লোরা সাইনি। বাংলার ওটিটি প্ল্য়াটফর্মেও কাজ করেছেন ‘গন্দি বাত’ খ্যাত অভিনেত্রী। ফুলওয়া বৌদি হিসাবে ‘দুপুর ঠাকুরপো’র তিন নম্বর সিজনে দেখা মিলেছিল ফ্লোরার। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবসময়ই খোলামেলা ফ্লোরা। ২০১৮ সালে যখন বলিউডে মাথাচাড়া দিয়েছিল মিটু আন্দোলন (#Metoo Movement) তখন প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন ফ্লোরা। ফের একবার প্রাক্তনের হাতে নির্যাতনের ভয়ঙ্কর কাহিনি সামনে আনলেন অভিনেত্রী। 

ফ্লোরা জানান, গার্হস্থ্য হিংসার শিকার তিনি। প্রাক্তন প্রেমিক তথা প্রযোজক গৌরাঙ্গ দোশির হাতে অকথ্য অত্যাচের শিকার হয়েছেন তিনি, দাবি ফ্লোরার। অভিনেত্রীর অভিযোগ প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। কারণ প্রেমিক বলেছিল, ভালোবাসলে তা প্রমাণ করে দেখাতে হবে। শুরুতে ফ্লোরার সঙ্গে খুব মিষ্টি ব্যবহার করতেন গৌরঙ্গ। শ্রদ্ধা ওয়াকারের হত্যা সম্পর্ক বলতে গিয়ে নিজের অতীত ঘেঁটে দেখলেন ফ্লোরা। জানান, প্রযোজক প্রেমিক তাঁর ফোন পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছিলেন যাতে পরিবারের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ রাখতে না পারে। 

ফ্লোরা বলেন, ‘বাবা-মায়েরা আগেভাগে বুঝতে পারেন জানেন। শ্রদ্ধার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল। প্রথমে ওরা আপনার থেকে আপনার পরিবারকে আলাদা করে দেবে। আমিও বাড়ি ছেড়েছিলাম। ওর সঙ্গে থাকতে শুরু করবার এক সপ্তাহের মধ্যে আমাকে মারধর শুরু করে। আমি বুঝতেই পারতাম না কেন হঠাৎ করে আমাকে মারছে, কারণ আমি ভাবতাম ও খুব ভালো একজন মানুষ’। 

এরপর অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে বাড়ি না ছাড়তে বারবার অনুরোধ করেছিল বাবা-মা, তবে তিনি কথা শোনেননি জেদের বশে। সেটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, কয়েকদিনের মধ্যেই বুঝে যান ফ্লোরা। প্রযোজক প্রেমিককে ছেড়ে চলে যেতে চাইলে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল ‘ফুলওয়া বৌদি’কে। নায়িকার কথায়, গৌরাঙ্গ দোশি হুমকি দিয়েছিলেন ‘আমার ঘর ছাড়লে তোমার বাবা-মা’কে মেরে ফেলব'।  

ফ্লোরার চাপা গলায় বলে চলেন, ‘একদিন রাতে মেরে আমার চোয়াল ভেঙে দিল। এরপর নিজের বাবার ছবি হাতে নিয়ে বলল, বাবার নামে শপথ করে বলছি, আজ রাতেই তোকে শেষ করে দেব। সেইসময় আমার মায়ের আওয়াজটা কানে বাজছিল। ও পিছন ঘুরতেই আমি দৌড়াতে শুরু করিনি, ভাবিনি আমার শরীরে পোশাক আছে কি নেই, আমার কাছে টাকা-পয়সা আছে কী নেই! শুধু দৌড়েছিলাম, ফিরে তাকায়নি’। 

পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলেও কোনও লাভ হয়নি। কারণ ততক্ষণে প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলছে পুলিশ আধিকারিক, সাক্ষাৎকারে বলেন ফ্লোরা। পরবর্তীতে প্রযোজক গৌরাঙ্গ দোশির বিরুদ্ধে ফ্লোরা হাতে লেখা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ঠিকই, তবে মামলা এগোয়নি। 

ওয়েব সিরিজের পাশাপাশি ‘দাবাং ২’, ‘স্ত্রী’, ‘লক্ষ্মী’, ‘ধনক’-এর হিন্দি ছবিতেও কাজ করেছেন ফ্লোরা। স্ত্রী ছবির ভূতনি হিসাবে দর্শকদের নজর কাড়েন তিনি।