মহালয়ার সকাল মানেই প্রথমে রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। আর তারপর টিভিতে মহালয়ার অনুষ্ঠানে দেবীর হাতে অসুর বধ। বাঙালি পরিবারের সকলেই এভাবেই যেন বড় হয়েছে। মহালয়ার আগেরদিন রাতটা তাই অনেকেরই নির্ঘুম কাটে এই ভয়ে যাতে মিস না হয়ে যায় মহালয়া!
যদিও বর্তমানে টিভি-তে মহালয়ার অনুষ্ঠানের লড়াইতে মাতে চ্যানেলগুলি। টলিপাড়ার বিখ্যাত মুখকে নিয়ে আসা হয় মা দুর্গা রূপে। দর্শকদের মতে, ‘যেখানে পৌরানিক গাঁথার থেকে বেশি প্রাধান্য পায় চটক’! এবার জি বাংলা দেবীর নানা রূপ নিয়ে তৈরি করেছিলেন তাঁদের মহালয়ার অনুষ্ঠান ‘নানা রূপে মহা’। যেখানে জি-র নায়িকাদের দেখা গিয়েছিল মায়ের এক-এক রূপে। আর মা আদ্যাশক্তির বেশে দেখা মিলেছিল শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁর হাতেই হয়েছে অসুর বধ।
তবে বেলা যত গড়াল, শুভশ্রীকে নিয়ে সমালোচনা ততই যেন প্রকট হল! প্রায় বছরখানেকের লম্বা ব্রেকের পর কাজে ফিরেছেন শুভশ্রী। স্বভাবতই তাঁকে নিয়ে উৎসাহ ছিল সবচেয়ে বেশি! কিন্তপ হতাশ হয়েছেন অনেকেই। দাবি, ‘নাচের প্রায় সব ক'টি বিট মিস করেছেন শুভশ্রী। অঙ্গভঙ্গিও একদম খারাপ হয়েছে।’ সঙ্গে শুভশ্রীর পোশাক থেকে শুরু করে গোটা মহলয়ার অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা ভিএফএক্স নিয়েও চ্যানেলের মুণ্ডুপাত করা হয়েছে।
কেউ কেউ আবার মনে করেছেন, একবারও মনে হয়নি মহালয়া দেখছেন তাঁরা টিভিতে। এ যেন কোনও নৃত্যনাট্য। নেই কোনও অভিনয়। একের পর এক অভিনেত্রী আসছেন আর নাচ করছেন! বয়োজ্যেষ্ঠদের মধ্যে কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আজকের প্রজন্ম আর কিছুই শিখতে পারবে না মহালয়ার অনুষ্ঠান থেকে’!
শুভশ্রীকে তুলোধনা করার সময় উঠেছে কোয়েল মল্লিকের প্রসঙ্গেও। কালার্স বাংলায় এবার দুর্গা-রূপে দেখা মিলেছিল কোয়েলের। একজন লিখেছেন, ‘শুভশ্রীর উচিত দেখনদারি করার পাশাপাশি নাচ আর অভিনয়টা কোয়েলের থেকে শিখে আসে’!