সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতারণার মামলায় ইডি ও দিল্লি পুলিশের হাতে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে সিংহল-সুন্দরী জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজ এবং মরোক্কোর সুপারহট কন্যা নোরা ফতেহি-কে। বলিউডের এই দুই বিদেশিনীর পাশাপাশি এবার সুকেশ মামালয় জড়িয়ে গেল আরও চার অভিনেত্রীর নাম। তালিকায় রয়েছেন বিগ বস খ্যাত নিকি তম্বোলিও। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের চার্জশিটে নাম উল্লেখ রয়েছে নিকির। এই মালায় বৃহস্পতিবার ছয় ঘন্টা ধরে নোরা ফতেহিকে জেরা করে দিল্লি পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইং (EOW)।
ইডি সূত্রে খবর, নিকিতা (ওরফে নিকি) তম্বোলি, চাহাত খান্না, সোফিয়া সিং, আরুশা প্যাটেল- এই চার সুন্দরী সুকেশের সঙ্গে তিহার জেলে গিয়ে দেখা করেছিল। সুকেশের সহকারী পিঙ্কি ইরানি এই চারজনের সঙ্গে জেলে সুকেশের সাক্ষাৎ-এর ব্যবস্থা করেছিলেন। বুধবার ও বৃহস্পতিবার, পরপর দু-দিন এই মামলায় পিঙ্কিকে জেরা করেছে দিল্লি পুলিশ।
ইন্ডিয়া টুডে-র হাতে এসেছে ইডির চার্জশিটের প্রতিলিপি। সেখানে হাইকোর্টকে ইডি জানিয়েছে, ‘২০১৮ সালের এপ্রিলের প্রথম সাক্ষাৎ-এ অভিযুক্ত পিঙ্কি ইরানি সুকেশের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ পান। সেই টাকার মধ্যে ১.৫ লক্ষ টাকা নিকিতা তম্বোলিকে দেন পিঙ্কি। সুকেশের সঙ্গে প্রথমবার দেখা করবার দু থেকে তিন সপ্তাহ পর ফের নিকিতা (জেলে) দেখা করতে যান সুকেশের সঙ্গে। তখন তাঁকে ২ লক্ষ টাকা নগদ এবং একটি গুচি-র ব্যাগ দেন অভিযুক্ত সুকেশ'।
দিল্লি হাইকোর্টে পেশ করা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট স্পষ্ট জানিয়েছে জেলবন্দি জালিয়াত সুকেশ চন্দ্রশেখরের থেকে লাভবান হয়েছেন জ্যাকলিন। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের কালিমালিপ্ত অতীতের কথা জেনেও কেবলমাত্র টাকার লোভের তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন জ্যাকলিন দাবি ইডির। এমনকী ওয়েব সিরিজের লেখকের পারিশ্রমিক পর্যন্ত সুকেশের কাছ থেকে আদায় করেছিলেন নায়িকা। সুকেশের থেকে দামী দামী উপহার হাতিয়ে নিয়েছেন জ্যাকলিন, বলে অভিযোগ। অন্যদিকে নোরা ফতেহি-কেও বহু দামী উপহার দিয়েছেন সুকেশ। তালিকায় রয়েছে ডিজাইনার ব্যাগ থেকে লাক্সারি কার। যদিও এই মামলায় এখনও অভিযুক্ত তালিকায় নাম নেই নোরার।
আপতত দিল্লির তিহার জেলেই বন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখর। ১০টির বেশি অপরাধমূলক মামলা দায়ের রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকারের আইন দফরের আধিরাকিক সেজে রানব্যাক্সির মালিক শিবিন্দর সিং-এর স্ত্রী অদিতি সিং-এর থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন সুকেশ। জেলবন্দি শিবিন্দরের জামিনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার টোপ দিয়ে এই তোলাবাজি করেছিলেন সুকেশ, বলে অভিযোগ ইডির।