কনফিডেন্স থাকা ভালো তবে ওভার কনফিডেন্স 'হানিকারক'। জীবন থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছেন টলিউডের নবাগত প্রযোজক এনা সাহা। এসওএস কলকাতার সঙ্গে প্রযোজক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন এনা। ছবির স্টার কাস্টও ছিল জাঁ চকচকে। প্রথম ছবিতে যশ দাশগুপ্ত এবং নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে ছবি বানিয়েছিলেন এনা সাহা (Ena Saha)। আরও পড়ুন-সোনামণির পর এবার প্রতীকের ‘জোড়িদার’ রত্নাপ্রিয়া, নয়া ‘উড়ান’ নিয়ে কী বলছেন নায়ক?
এই ছবিটা না হলে যশ-নুসরতের গল্পটা হয়ত অন্যরকম হত কারণ এই ছবির সেটেই শুরু নিখিল জৈনের সঙ্গে ‘লিভ ইন’-এ (আলাদাত বলেছে বিয়ে বৈধ নয়) থাকা নুসরতের সঙ্গে ডিভোর্সি যশের প্রেমের গল্প। এই ছবি বক্স অফিসে মোটের উপর ভালো ব্যবসা করে। ২০২০ সালের ২১শে অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল সেই ছবি। কিন্তু এই সাফল্যই এনার জীবনে কাল হয়ে আসে।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে সেই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন এনা। অভিনেত্রী-প্রযোজক বলেন, ‘এসওএস কলকাতা হিট হওয়ার পর আমি ওভার কনফিডেন্ট হয়ে পড়ি। চিনে বাদাম নামক এক ছবি করতে যাই। যদিও আমার অন্তরআত্মা বলেছিল এই ছবিটা করা উচিত হচ্ছে না। তবুও বাইরের লোকজনের কথা শুনে ছবিটা করি। আর যা হওয়ার তাই হয়। সব টাকা নষ্ট। কারণ ছবিটা সুপারফ্লপ হয়।’ এনা জানান, এই ছবির জন্য ৭০ লক্ষ টাকা জলে গিয়েছে তাঁর!
এই ছবিতে যশের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন এনা। ছবির পরিচালক ছিলেন শিলাদিত্য় মৌলিক। ছবি মুক্তির আগে পরিচালকের সঙ্গে ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্সের জেরে ছবির প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন যশ। আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে যশ চিনে বাদাম-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
এনার সর্বনাশের শেষ এখানেই নয়। এনার প্রযোজনাতেই যশ-নুসরত জুটি বেঁধে আরও একটি ছবি করেছেন, ‘মাস্টারমশাই আপনি কিচ্ছু দেখেননি’। সেই ছবির পরিচালকও শিলাদিত্য়। একই কারণে ঝুলে রয়েছে এই ছবির ভবিষ্যত।
প্রয়াত ‘ডুপ্লিকেট অমিতাভ বচ্চন'! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ফিরোজ খানের
চিনে বাদাম ফ্লপ করার পর হতাশা গ্রাস করে এনাকে। অতীতে বহুবার মানসিক অবসাদ নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন এনা। প্যানিক অ্যাটাক-ডিপ্রেশনের জেরে ওজন বেড়ে যাওয়ার শিকারও হয়েছেন তিনি। এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার বডি শেমিং-এর মুখেও পড়েছেন। তবে ট্রোল পুলিশদের জন্য নিজেকে বদলাতে আগ্রহী নন এনা।