ক্যানসারের সঙ্গে প্রায় দুইবছর পাঞ্জা লড়ার পর বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন প্রখ্যাত বলিউড অভিনেতা ঋষি কাপুর। তাঁর স্ত্রী নীতু কাপুর শনিবার ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগঘন পোস্ট করেন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে সদাহাস্য ঋষি কাপুর ব্ল্যাক লেবেল পান করছেন। পেয়ালায় চুমুক দেওয়ার আগে তৃপ্ত মুখে ছবির জন্য পোজ দিচ্ছেন ঋষি। নীতু কাপুরের ক্যাপশন-আমাদের কাহিনির ইতি। ঋষি কাপুর যে মদ্যপান করতে ভালোবাসতেন, এটা নিজেই অভিনেতা বলেছেন একাধিকবার। একসময় অত্যন্ত মদ্যপানের জন্য সম্পর্কে চিড়ও ধরে। কিন্তু সময়ের স্রোতে জোড়া লাগে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। এদিন তাই মদ্যপান রত ঋষি কাপুরের ছবি শেয়ার করার মধ্যে আছে একটা পোয়েটিক জাস্টিস।
১৯৮০ সালের জানুয়ারি মাসে বিয়ের পর্ব সারেন ঋষি কাপুর ও নীতু কাপুর।জানা যায় বিয়ের দিন নাকি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন মিঁয়া-বিবি। ঘোড়ি চড়ে মাথা ঘুরছিল ঋষির আর নীতু নাকি ভারি লেহেঙ্গার বোঝা সামলাতে পারেননি।
২০১৮ সালে ঋষি কাপুরের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে আসে। এরপর একটানা একবছর নিউ ইয়র্কে চিকিত্সা চলেছে তাঁর। আর মারণরোগ ক্যানসারের সঙ্গে এই লড়াই সারাক্ষণ তাঁর পাশে থেকেছেন নীতু।
এই সুদীর্ঘ সময়ে মৃত্যু আর ঋষি কাপুরের মাঝে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন নীতু। প্রয়াত অভিনেতা নিজের মুখে মেনে নিয়েছিলেন, 'আমি তো এখন ওর সন্তান।মায়ের মতো আমাকে আগলে রাখে'।
ঋষি কাপুরের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের তরফ থেকে বার্তায় বলা হয়েছিল- ‘দু বছর ধরে ওর চিকিত্সা পর্ব জারি ছিল, কিন্তু ও ঠিক করে রেখেছিল জীবনটা মনখুলে বাঁচবে, ভীষণ আত্মবিশ্বাসী আর চনমনে ছিল এই দিনগুলোতে। ওর ফোকাসে ছিল-পরিবার, বন্ধু, খাবার আর ফিল্ম, এর বাইরে আর বেশিকিছু ভাবত না চিন্টু। এই দু বছরে যাঁরাই ওর সঙ্গে দেখা করেছে তাঁরাই চমকে গিয়েছে ওঁকে দেখে। ক্যানসারকে ওকে ভেঙে দিতে পারেনি।’
ঋষি-নীতু কাহিনি হয়তো শেষ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু মনের মনিকোঠায় থেকে যাবে এই সেলেব দম্পতির খণ্ডচিত্র।