মেলালেন তিনি মেলালেন। 'গুরু'-ই মিলিয়ে দিলেন যুযুধান দুই পক্ষকে। কথা হচ্ছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং অতনু বসু-কে নিয়েই। উত্তমকুমারের ওপর তৈরি হওয়া ছবি নিয়েই তরজায় জড়ান এই দুই পরিচালক। ঝামেলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত।
আসলে উত্তমকুমারকে নিয়ে টলিপাড়ায় এইমুহূর্তে মুক্তির অপেক্ষায় দু'দুটি ছবি। পরিচালক অতনু বসু তৈরি করছেন 'অচেনা উত্তম' এবং দ্বিতীয়টি বানাচ্ছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সেই ছবির নাম 'অতি উত্তম'। 'অচেনা উত্তম'-এ উত্তমকুমারের চরিত্রে অভিনয় করছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেনের ভূমিকায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আর সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে দেখা যাবে দিতিপ্রিয়া রায়কে। গত বছরই এই ছবির ঘোষণা করেছিলেন অতনু।
চলতি বছরে উত্তমকুমারের জন্মদিনে সৃজিত মুখোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন উত্তমওকুমারের ওপর তাঁর পরবর্তী ছবি ‘অতি উত্তম’-এর পোস্টার।জানা গেছে, এরপরই 'অচেনা উত্তম' এর প্রযোজনা সংস্থা অলকানন্দা আর্টসের তরফ থেকে আইনি নোটিস পেয়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, উত্তম কুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় এবং সৃজিতের ছবির প্রযোজক সংস্থা ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন। আইনি নোটিশ পাঠানোর পিছনে যুক্তি হিসেবে অলকানন্দা আর্টসের তরফে বলা হয়েছে তাদের সঙ্গে উত্তম-পুত্র গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছিল মহানায়কের নাম ও ছবি অন্য সিনেমার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না। অথচ সৃজিতের ছবির পোস্টের জুড়ে শুধু উত্তমের ছবিই নেই, সঙ্গে শিরোনামেও রয়েছে মহানায়কের নাম।
এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর সৃজিতের জন্মদিন উপলক্ষে পরিচালককে ব্যক্তিগতভাবেই ফোন করেন অতনু। শুভেচ্ছা জানাতেই। এইমুহূর্তে 'সাবাস মিঠু'-র শ্যুটিংয়ের কাজে মুম্বইয়ে রয়েছেন সৃজিত।তাই ব্যস্ত থাকায় তখন কথা না হলেও পরে পাল্টা অতনুকে ফোন করেন 'অটোগ্রাফ' এর পরিচালক। হালকা গল্প করার ফাঁকে অতনুকেও তাঁর জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানান সৃজিত। এদিন অর্থাৎ ২৪ সেপ্টেম্বর জন্মদিন 'অচেনা উত্তম' এর পরিচালকের। তাহলে কি বরফ গেল দুজনের? কী কথা হল দুই যুযুধান দু'পক্ষের মধ্যে? অতনু জানিয়েছেন রসিকতা করে সৃজিত তাঁকে বলেছেন, পুরোটাই উত্তম-উত্তম। উত্তমকুমারই যেন তাঁদের মিলিয়ে দিলেন।
আর ছবি নিয়ে? সে প্রসঙ্গে বিশদে বলতে না চাইলেও অতনু জানিয়েছেন সৃজিত চান তাঁদের দু'জনের ছবিই দর্শক দেখুক। দু'জন পরিচালকের ছবিই যেন মুক্তি পায় তাইই ভীষণভাবে চাইছেন সৃজিত। '২২শে শ্রাবণ' এর পরিচালকের মতে তিনি এবং অতনু দু'জনেই উত্তমকুমারকে নিয়ে ছবি তৈরি করলেও 'মহানায়ক'-এর সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের। একে ওপরের থেকে দিক তুলে ধরছেন। অতনু যেখানে বানিয়েছেন 'গুরু'-র জীবনী, সৃজিত সেখানে তৈরি করেছেন মজার ছবি। তবে শেষপর্যন্ত আইনি জটিলতার কী হবে? আপাতত সে বিষয়ে নতুন করে কিছু বলতে নারাজ অতনু।