বলিউডের পারিবারিক বিবাদ হোক বা প্রেম- দুটোর চর্চাই হামেশাই ঘুরেফিরে আসে সংবাদ শিরোনামে। বহু তারকাই রয়েছেন যাঁরা একাধিকবার বিয়ের বাঁধনে বাঁধা পড়েছেন। যেমন- ধর্মেন্দ্র,ড্রিম গার্ল হেমাকে বিয়ের আগে প্রকাশ কৌরের সঙ্গে সুখী গৃহকোণ ছিল অভিনেতা। নতুন সম্পর্কে জড়ালেও নিজের চার সন্তানের মা, প্রকাশের সঙ্গে্ কোনওদিন সম্পর্ক ছিন্ন করেননি ধর্মেন্দ্র।
আজ পর্যন্ত কোনওদিন মুখোমুখি সাক্ষাত্ হয়নি ধর্মেন্দ্রর দুই স্ত্রীর। হেমা-ধর্মের বড়োমেয়ে এষা দেওলের আজ, ২রা নভেম্বর পা দিলেন ৩৯ বছরে। অনেকেই হয়ত জানা নেই, হেমা মালিনীর পরিবারের কোনও সদস্যেরই ধর্মেন্দ্রর পৈতৃক ভিটেতে ঢোকবার অনুমতি নেই। এষায় প্রথম এবং একমাত্র ব্যক্তি যে হেমার পরিবারের সদস্য হয়েও সেই বাড়িতে প্রবেশের অধিকার পেয়েছিল পাঁচ বছর আগে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি! এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অনেক অজানা গল্প।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। তাঁদের দুই পুত্র সানি ও ববি এবং দুই কন্যা বিজিতা ও অজিতা। এরপর আশির দশকে দ্বিতীয়বার ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। দ্বিতীয় পক্ষের দুই কন্যা এষা এবং অহনা।
‘নবভারত টাইমস'-এর প্রতিবেদনে হেমা মালিনীর বায়োগ্রাফি ‘হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’-এর অংশ উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করবার পর থেকেই হেমা মালিনীর পরিবারের তরফে কারও ধর্মেন্দ্র পৈতৃক বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। তবে সত্ দাদা সানির সৌজন্যে অসাধ্য সাধন করেছিলেন এষা।
জানা যায়, ২০১৫ সালে যখন ধর্মেন্দ্রর ভাই তথা অভয় দেওয়ালের বাবা অজিত দেওল অসুস্থ হয়ে পড়েন। কাকার সঙ্গে দেখা করবার ইচ্ছা ছিল এশার, তবে বাধ সাধে নিয়ম। কারণ হাসপাতালে নয় বাড়িতেই চিকিত্সা চলছিল অজিত দেওলের। অজিত দেওয়াল এশা এবং অহনাকে প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। সে আরো জানায়, 'আমার কাছে কোনও উপায় ছিলনা তাঁদের বাড়ি যাওয়া ছাড়া। এমনকি তিনি হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন না যে সেখানে দেখা করতে যাবো। তাই আমি সানি ভাইয়াকে ফোন করি। উনি দেখা করার সমস্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন'। এষা আরও জানায়, সেখানেই প্রথমবারের জন্য বাবার প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। এষা তাঁর পা ছুঁয়ে বড়মাকে নমস্কার করেন এবং তিনি এষাকে আশীর্বাদও করেন'।
গত বছর এক সাক্ষাৎকারে হেমা মালিনী খোলশা করেন, যেদিন তিনি ধর্মেন্দ্রকে দেখেছিলেন সেদিনই তিনি মনে মনে ভেবে নিয়েছিলেন, ধর্মেন্দ্র তাঁর স্বপ্নের পুরুষ।তিনি ধর্মেন্দ্রর সঙ্গেই তাঁর বাকি জীবন কাটাতে চান। পাশাপাশি তিনি এটাও ভেবে নিয়েছিলেন তাঁদের বিয়ের ফলে অন্য কারও যেন ক্ষতি না হয়।এমনি তিনি চেষ্টা করেছেন তাঁর অনুপ্রবেশে ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের স্ত্রী বা সন্তানদের কোনও ক্ষতি যেন না হয়। এমনকি তিনি এটাও জানিয়েছেন, তিনি কখনোই ধর্মেন্দ্রকে তাঁর প্রথম পরিবারের থেকে আলাদা করার চেষ্টা করেননি'।
বর্তমানে এষা সুখে সংসার পেতেছেন ব্যবসায়ী ভরত তখতানির সঙ্গে। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। এষাকে শেষ দেখা গিয়েছে পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের শর্ট ফিল্ম ‘কেকওয়াকে'।