সালটা ছিল ২০০২, সেবছরই ‘কোই মেরে দিল সে পুছে’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন এষা দেওল। ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর মেয়ে তিনি, তাই এষার বলিউডের যাত্রাপথ মসৃণ হবে এমনটাই ভেবে থাকেন সকলে। তবে সম্প্রতি হাউটারফ্লাইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অন্য কথাই বলছেন এষা।
সাক্ষাৎকারে এষার বিস্ফোরক দাবি, তাঁর কেরিয়ার গড়তে সাহায্য নয়, বরং তাঁর বাবা ধর্মেন্দ্র চেয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন।
'বাবা চেয়েছিলেন, বিয়ে করে নি'
এষার কথায়, ‘বাবা চাননি, আমি সিনেমার দুনিয়ায় আসি। কারণ বাবা খুবই রক্ষণশীল মানসিকতার মানুষ। তিনি গোঁড়া পাঞ্জাবি হিন্দু পরিবারে বড় হয়েছেন। ছোট থেকে বাবা তাঁর পরিবারের মহিলাদের এটাই করতে দেখেছেন। তাই বাবা চেয়েছিলেন আমি বিয়ে করি, ১৮-তেই থিতু হই। এটাই বাবার শর্ত ছিল। তবে আমার বাড়িতে আমার বেড়ে ওঠা আলাদা ছিল। আমি মাকে দেখেছি, অভিনয় করতে। মায়ের নাচ আমার মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল। সেটাই আমাকে দিক নির্দেশন করে। মনে হয়েছিল আমিও কিছু করতে চাই। ’
এষা আরও বলেন, তিনি বিয়ে নয়, কেরিয়ার গড়তে চান। এষার কথায়, ‘আমার ভাবনাটা বাবাকে বোঝাতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল। বাবাকে বোঝানোর বিষয়টা সহজ ছিল না। আমি মূলত মায়ের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। এমনকি মায়ের সঙ্গে আমার তুলনা হবে, সেবিষয়টির জন্যও তৈরি ছিলাম না।' এষার কথায়, তাঁর মা তাঁকে বলেছিলেন এই বিষয়গুলিতে বিশেষ পাত্তা না দিতে, নিজের কেরিয়ারের বিষয়ে যত্ন নিতে।
অভিনয় থেকে বিরতি
২০১১ সালে টেল মি ও খুদা ছবির পরে অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন এষা। ২০১২ সালে মুম্বইয়ে ভারত তখতানিকে বিয়ে করেছিলেন এষা দেওল। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে তাঁদের দুই মেয়ে রাধ্যাধ্য ও মিরায়ার জন্ম হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই দম্পতি। এষাকে শেষ দেখা গিয়েছে ২০১৫ সালে 'কিল দেম ইয়ং' তে। শোনা যাচ্ছে 'ম্যায় অ্যন্ড হিরো হেরোইন' ছবির মাধ্যমে ফের অভিনয়ে ফিরতে চাইছেন এষা।