তিনি বলিউডের অরিজিন্যাল 'ধুম মাচালে গার্ল'। মা-বাবা'র পদচিহ্ন অনুসরণ করে ২০০২ সালে অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন এষা দেওল। কেরিয়ারের গোড়ার দিকেই ‘ধুম’-এর মতো ব্লকবাস্টার ছবিও ছিল এষার ঝুলিতে, কিন্তু সেই অর্থে বলিউডের এ-লিস্টার নায়িকা হয়ে উঠতে পারেননি হেমা মালিনী কন্যা। ৬ বছরের মধ্যেই গুটিয়ে যায় তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার। পরবর্তীতে মায়ের পরিচালনায় (টেল মি ও খুদা) কাজ করেও সাফল্য অধরাই থাকে। আরও পড়ুন-‘ওঁনার মেয়ে হিসাবে যেন..’,ধর্মেন্দ্র-শাবানার চুমুর দৃশ্যে আপত্তি? মুখ খুললেন এষা
২০২৯ সালে ‘কেকওয়াক’ শর্টফিল্মের সঙ্গে কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন এষা। হালে ৬৯তম জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চে সমাদৃত হয়েছে নায়িকার অপর শর্টফিল্ম ‘এক দুয়া’। যা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রাম কমল মুখোপাধ্যায়। বলিউড বাবল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সানির সৎ বোন জানান, বিশাল ভরদ্বাজের ‘ওমকারা’ এবং রোহিত শেট্টির ‘গোলমাল’ ছবির অফার ফিরিয়েছিলেন তিনি। তার জন্য আজও আফসোস এষার মনে। অভিনেত্রী বলেন-'এখন আফসোস হয় গোলমালের সুযোগ হাতছাড়া করেছি বলে। যদি আমি নাম বলতে থাকি যে ঠিক কোন কোন ছবির অফার আমি ছেড়েছি, তাহলে লোকে আমাকে জুতো পেটা করবে। কিন্তু বিশ্বাস করুন যাঁরা আমার জায়গায় সেই চরিত্রগুলো করেছেন, সকলে খুব ভালো কাজ করেছেন। ভাবতে পারেন, আমি ওমকারার অফার ফিরিয়েছিলাম। শেষমেশ ওই চরিত্রটাতে বিপাশা বসু অভিনয় করেন। আর উনি দারুণ কাজ করেছেন… চরিত্রটার সঙ্গে সুবিচার করেছেন। এক কথায় উনি ফাটাফাটি'।
২০০৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিশাল ভারদ্বাজের 'ওমকারা'। শেক্সপিয়ারের ‘ওথেলো’কে ভারতীয় প্রেক্ষাপটে তুলে ধরেছিলেন পরিচালক। এই ছবিতে বিল্লো চমনবাহার (নাটকের বিয়াঙ্কা) হওয়ার সুযোগ হেলায় হারান এষা। বক্স অফিস সাফল্যই শুধু নয়, বলিউডের বহুল সমালোচিত ছবির একটি ‘ওমকারা’। অন্যদিকে রোহিত শেট্টির ‘গোলমাল’ও ব্লকবাস্টার হিট ছবি। ২০০৬ সালে শুরু এই ফ্রাঞ্চাইসি আজও সমান জনপ্রিয় সিনেপ্রেমীদের মনে।
২০১২ সালে ভরত তখতানির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর ৭ বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন এষা। সংসার-সন্তানের দায়িত্ব সামলাতেই ব্যস্ত ছিলেন অভিনেত্রী। এষাকে শেষ পর্দায় দেখা গিয়েছে আমাজন মিনি টিভি-র ওয়েব সিরিজ ‘হান্টার টুটেগা নেহি তোড়েগা’তে। দিন কয়েক আগেই দাদা সানি দেওল-এর গদর ২-এর স্পেশ্যাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করেছিলেন এষা। সেখানে একফ্রেমে দেখা মিলেছিল ধর্মেন্দ্র-র দুই পরিবারের সদস্যদের। গদর ২ নিয়ে সৎ দাদাকে প্রশংসায় ভরিয়েছেন এষা। তাঁর কথায়, গদর ২-এ পর্দায় সানি যে ম্যাজিক দেখিয়েছেন তা একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব।