অভিনেত্রী এষা দেওল স্বীকার করেছেন যে, তিনি তাঁর বাবা ধর্মেন্দ্রর অতীত সম্পর্ক নিয়ে কখনই অস্বস্তি বোধ করেননি। তিনি আরও জানান যে, তাঁর মা এবং অভিনেত্রী হেমা মালিনী তাঁকে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ার সময়ই তাঁর বাবার প্রথম বিয়ের কথা বলেছিলেন। রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের লেখা হেমা মালিনীর আত্মজীবনী, 'হেমা মালিনী: বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল'-এ এষা তাঁর পরিবারের এই দিকটা আনেন সামনে।
পারিবারিক জীবন নিয়ে অকপট এষা
এষা দেওল শেয়ার করেছেন যে, তিনি তাঁর বাবার আগের বিবাহের কথা জানতে পেরেছিলেন, যখন এক সহপাঠী তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, তাঁর দুটি মা আছে কি না। অভিনেত্রী স্মৃতিচারণ করে বলেন, এমন কথা শুনে কার্যত হতবাক হয়ে পড়েন তিনিষ এমনকি এসব ‘নোংরা কথা’ বলার জন্য পালটা জবাবও দেন ওই সহপাঠীকে।
আরও পড়ুন: ‘অন্তরা সোজা পথে, ট্যালেন্ট দিয়ে ওঠেনি…’! চরিত্র নিয়ে কু-মন্তব্য ফেসবুকে, জবাব সারেগামাপা বিচারকের
এশা স্বীকার করেছেন যে, এরপর তিনি বাড়িতে পৌঁছে মা হেমার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ওই সময় আমার মা আমাকে সত্য বলার সিদ্ধান্ত নেন। কল্পনা করুন, আমরা তখন চতুর্থ শ্রেণিতে ছিলাম এবং কোনও বিষয়ে কোনও ধারণা ছিল না। এখনকার বাচ্চারা অনেক বেশি স্মার্ট... তবে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার মা এমন একজনকে বিয়ে করেছেন যিনি ইতিমধ্যে অন্য মহিলার সাথে বিবাহিত ছিলেন এবং তাদেরও একটি পরিবার ছিল। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, আমার কখনও খারাপ লাগেনি। আজ অবধি আমার মনে হয় না এতে কোনও ভুল আছে। এবং আমি আমার বাবা-মাকে পুরো কৃতিত্ব দিই যে তারা আমাদের কখনও অস্বস্তি বোধ হতে দেননি।’
আরও পড়ুন: বউ ‘সুপারস্টার’ শুনেই মুখ খুললেন বয়সে ছোট ভিকি! স্বামীর থেকে কত বড় ক্যাটরিনা
পারিবারিক বন্ধনের কথা বলতে গিয়ে এষা জানিয়েছেন যে, ধর্মেন্দ্র প্রতিদিন তাদের সঙ্গে খাবার খেতেন। তবে রাতে থাকতেন না। ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, আমি আমার বন্ধুদের বাড়িতে যেতাম যেখানে আমি বাবা-মা দুজনকেই আশেপাশে থাকতে দেখতাম। তখনই আমি বুঝতে পারি যে বাবাদের আশেপাশে থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু যেভাবেই হোক, আমাদের এমনভাবে গ্রুম করা হয়েছিল যে, এটি আমাকে খুব বেশি প্রভাবিত করেনি। আমি আমার মাকে নিয়ে খুব সন্তুষ্ট ছিলাম এবং আমি আমার বাবাকে ভালোবাসতাম।’
আরও পড়ুন: কিস্তিমাত ভুল ভুলাইয়ার, অজয়কে দমিয়ে অষ্টম দিনে মাথা চাড়া কার্তিকের, তাহলে সিংঘম এগেইনের আয় কত?
হেমা ও ধর্মেন্দ্রর সম্পর্ক:
১৯৭০ সালে 'তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান' ছবিতে কাজ করার সময় হেমা ও ধর্মেন্দ্রর মধ্যে ভালোবাসা হয়। তাঁরা ১৯৮০ সালে বিয়ে করেছিলেন এবং তাদের দুটি কন্যা রয়েছে, এষা এবং অহনা দেওল। হেমা ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রবীণ অভিনেতা প্রথম বিয়ে করেন কৌরের সঙ্গে। ১৯৫৪ সালে বিয়ে করেন প্রকাশ ও ধর্মেন্দ্র। বিভিন্ন সূত্রের খবর, প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই হেমার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ধর্মেন্দ্র। প্রথম বিবাহ থেকে তার দুই পুত্র রয়েছে, অভিনেতা সানি দেওল এবং ববি দেওল।
'দ্য বার্নিং ট্রেন', 'শোলে', 'রাজা জানি', 'ধর্ম অউর কানুন', 'দো দিশায়ে'-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র-হেমা।