গায়ের রং কালো নাকি সাদা বিবেচনা করে নারীর শ্রেষ্ঠত্ব বিচার করা বর্ণবাদী মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও আজন্মকাল অনেকেই এই মানসিক দাসত্ব বহন করে চলেছেন। অভিনেত্রী এশা গুপ্তা সম্প্রতি ফাঁস করেছেন কেমনভাবে এই মানসিকতার শিকার হয়েছিলেন তিনি। শোবিজ দুনিয়ার নায়িকা মানেই সুন্দরী, আর সুন্দরী মানেই তাঁকে হতে হবে ফর্সা, ধবধবে সাদা- এ যেন এক অলিখিত নিয়ম। এশা জানিয়েছেন ফর্সা হতে ইঞ্জেকশন নেওয়ার উপদেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে, সেই সময় ফর্সা হওয়ার ইঞ্জেকশনের দাম কত? সেই খোঁজও নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি ‘আশ্রম ৩’ সিরিজে দেখা গিয়েছে এশাকে।
‘জন্নত ২’ ছবি দিয়ে বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন এশা। সালটা ২০১২। প্রকাশ ঝা-র ‘চক্রব্যুহ’ ছবিতে এশার পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়। এরপর একে একে ‘রাজ থ্রিডি', ‘রুস্তম’, ‘বাদশাহো’-র মতো ছবিতে দেখা মেলে এশার।
বলিউডে এক দশক কাটিয়ে ফেলা অভিনেত্রী এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘কেরিয়ারের শুরুতে আমাকে নিজের নাকটা আরও টিকালো করতে বলা হয়েছিল। লোকে বলত আমার নাকটা নাকি বড্ড গোল। তার আগে আমাকে লোকে এমনও উপদেশ দিত যে আমার উচিত ফর্সা হতে ইঞ্জেকশন নেওয়া। আমি তো কিছু সময়ের জন্য তাদের কথায় কানও দিয়েছিলাম। খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম সেই ইঞ্জেকশনের দাম ৯,০০০ হাজার টাকা। আমাদের বলিউডের অনেক নায়িকাই সেগুলো ব্যবহার করে, আমি নাম বলব না।’
এশা আরও জানান, ‘অভিনেত্রীদের সুন্দর দেখতে লাগতে হবে, এই চাপটা সবসময় থাকে। কোনওদিন চাইব না আমার মেয়ে অভিনেত্রী হোক, তাহলে ছোট বয়স থেকে এই মানসিক চাপ ওকে সহ্য করতে হবে। সাধারণ জীবনযাপন করতে পারবে না ও।’
বড় পর্দায় এশাকে শেষবার দেখা গিয়েছে ২০১৯ সালে। ওই বছর ‘টোটাল ধামাল’ এবং ‘ওয়ান ডে জাস্টিস ডেলিভারড’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন এশা। এরপর ‘নাকাব’, ‘রিজেক্ট এক্স’, ‘আশ্রম’-এর মতো ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন এশা। খুব শীঘ্রই ফিরছে ববি দেওল-এর আশ্রমের চার নম্বর সিজন, এই সিজনেরও অংশ থাকছেন এশা।