প্রতারণার মামলায় যে কোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন অভিনেত্রী, সমাজকর্মী তথা সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী মিথিলা, তাঁর প্রাক্তন স্বামী তাহসান, অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াসহ ৯ অভিযুক্ত। শুক্রবার এমনটাই জানানো হয়েছে বাংলাদেশের ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমানের তরফে। এই ঘটনায় হইচই ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যমে।
অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে ই-কমার্স সংস্থা ইভ্যালির বিরুদ্ধে, এই সংস্থার সঙ্গে নানাভাবে যুক্ত থেকেছেন এই তারকারা। গত কয়েক মাস ধরে এই প্রতারণার মামলা চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলা করেন। এরপর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে এই মামলা। ডিসি সাজ্জাদুর রহমান সেদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘চটকদার বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে হাজারও গ্রাহককে পথে বসিয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি— এমন অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে।’
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ছিলেন তাহসান। মিথিলা ছিলেন ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। শবনম ফারিয়া প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। সাদ স্যাম রহমানের অভিযোগ ইভ্যালির প্রতারণার সম্পূর্ণ মদত জুগিয়েছেন তাহসান, মিথিলারা। প্রতারিত গ্রাহকের দাবি, মিথিলা-তাহসান-শবনমদের আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ তিন লাখ ১৮ হাজার, যা তিনি এখনও উদ্ধার করতে পারেননি।
এই মামলায় ইভ্যালির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গত সেপ্টেম্বর মাসেই গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের উপরও নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। কোম্পানি গ্রাহকদের কাছ থেকে যে ৩০০ কোটি টাকা অগ্রিম হিসাবে তুলেছিল তার হদিশ নেই। এই মামলার তদন্তের নথি সদ্যই ধানমণ্ডি থানায় এসেছে। থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া তা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এই মামলা নিয়ে বিবিসি বাংলাকে তাহসান খান জানিয়েছেন, ইভ্যালির সম্পর্কে তাঁকে ফেসবুকে অনেকে অভিযোগ জানানোর পর সংস্থার সঙ্গে তিনি চুক্তি বাতিল করেছিলেন। এই প্রতারণার মামলায় তাঁর নাম জড়ানোর ঘটনাকে তিনি 'হয়রানি' বলে বাখ্যা করেন। তাঁর সাফ কথা, কোম্পানি কিভাবে কাজ করে সেটি একজন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডারের জানবার কথা নয়।