কর্মক্ষেত্রেও সুরক্ষিত নয় মেয়েরা? হাসপাতালেও অবাধে ঘুরছে ধর্ষক? এই মোদ্দা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আরজি কর কাণ্ড৷ প্রশ্ন আরও অনেক। পুলিশি তদন্তের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, আরজি করের তরুণী চিকিৎসকদের খুন ও ধর্ষণ মামলার কিনারা যদিও আগামী রবিবারের মধ্যে কলকাতা পুলিশ না করতে পারে তাহলে তিনি নিজেই এই মামলা সিবিআইয়ের হাতে সঁপে দেবেন।
এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে মেডিক্যাল কলেজ গুলোতে কর্মবিরতির ডাক। ব্যাহত চিকিৎসা পরিষেবা। 'অভয়া'র জন্য পথে নেমেছেন সহকর্মী থেকে আম জনতা। সোমবার সকালে আরজিকরের অধ্য়ক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন ডাঃ সন্দীপ ঘোষ, ওদিকে তিনিই আবার বিকালে ন্যাশন্যাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের আসনে বসলেন। এইসব ঘটনাক্রম হজম হচ্ছে না কারুর!
আরজি কর ইস্যুতে এবার ক্ষোভ উগরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তরুণী চিকিৎসকদের মৃত্যুর তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। জি চব্বিশ ঘণ্টাকে রূপা বলেন, ‘এমন মার মারুন, এমন থার্ড ডিগ্রি দিন সব উগরে দেবে। পুলিসকে স্বাধীনতা দিলে সে ভালো কাজ করতে পারে। পুলিসকে গরু বানিয়ে রাখছ। পশ্চিমবঙ্গে সব কিছুতেই রাজনীতি।’
ছোটপর্দার দ্রৌপদী যোগ করেন, ‘বাঙাল ভাষায় বলব, উলটে প্যাঁদাও। যাতে সব উগরে দেয়’। আরজি করের ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে সিভিক পুলিশ সঞ্জয় রায়কে। আপতত ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত। তদন্তের স্বার্থে সিটের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে, এক ধাক্কায় ৭ থেকে সোজা ১৬৪ জন। জুনিয়র ডাক্তার খুনের নেপথ্যে সঞ্জয় একা নাকি জড়িত অন্য কেউ? চলছে তদন্ত।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আগামী ১৪ই অগস্ট স্বাধীনতার প্রাক্কালে নারীদের সম্মান ও স্বাধীনতার জন্য, অভয়ার বিচারের জন্য পথে নামবেন তিনি। মমতার উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে সহ্য করতে পারি না, আমি তাই বলছি আপনি আপনার ভালো কাজ বজায় রাখুন। যাতে আপনি যেদিন ক্ষমতা থেকে সরবেন সেদিন আপনার ফলক যেন কেউ ভেঙে না দেয়।’