ছেলেবেলার প্রেম, তারপর ১৪ বছরের সংসার। আইনিভাবে দুজনের পথ আলাদা, কিন্তু ৮ বছর ধরে আলাদা থাকলেও একটুকুও চিড় ধরেনি দুজনের বন্ধুত্বে। প্রাক্তন হয়েও যে বন্ধু থাকা যায়, সন্তানদের সব দায়িত্ব পালন করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন সুজান খান ও হৃতিক রোশন। একবার ফের প্রকাশ্যে এল তাঁদের সম্পর্কের এই গভীরতা। উপলক্ষ্য ছিল সুজান-হৃতিকের ছোট ছেলে রিদানের জন্মদিন। আর এইদিনটা একসঙ্গেই কাটালেন হৃতিক-সুজান। দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে লাঞ্চ সারলেন, চলল গল্প-গুজব মন খোলা আড্ডা।
১৪ বছর পূর্ণ করল রিদান, এদিন ছেলের ফেবারিট রেস্তোঁরাতে মধ্যাহ্নভোজ সারল রোশন পরিবার ও সুজান। তবে এদিনের লাইমলাইট কাড়ল জুটির বড় ছেলে রেহান। ১৬ বছরের হৃতিক পুত্র বাবার মতোই হ্যান্ডসাম হয়েছে মত নেটিজেনদের।
এদিন হৃতিকের দেখা মিলল ক্যাজুয়াল কালো টি-শার্ট, ব্লু জিনস এবং ব্লু ডেনিম শার্টে। জ্যাকেটের মতো করে শার্টটি পরেছিলেন তারকা। অন্যদিকে সাদা ক্রপ টপ এবং ছোট্ট কালো রঙা ভেস্টে সেজেছিলেন সুজান, সঙ্গে নীল জিনস। বার্থ ডে বয়ের দেখা মিলল সাদা টি-শার্টে, রেহানের পরনে ছিল ক্রিম রঙা টি-শার্ট।
বিয়ে ভাঙলেও হৃতিকের সব খুশিতে শামিল হন সুজান, আবার সুজানের ক্ষেত্রেও তেমনটাই করে থাকেন হৃতিক। ক'দিন আগেই সুজানের নতুন রেস্টুরেন্টের উদ্বোধনে প্রেমিকা সাবাকে সঙ্গে নিয়ে গোয়ায় পৌঁছেছিলেন হৃতিক। দুই পরিবারের মধ্যেকার এই ভালোবাসার বন্ধন দেখে অনেকেই আশ্চর্য হয়ে যায়।
২০০০ সালের ডিসেম্বরে হৃতিকের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন সুজান, ২০১৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। তবে বন্ধুত্বের সম্পর্কটা আজও অটুট। এমনকি ছেলেদের স্বার্থে এক ছাদের তলায় থাকতেও কুন্ঠাবোধ করেন না তাঁরা। বাবা-মা'র দায়িত্ব পালনে সর্বদাই দু-পা এগিয়ে হৃতিক-সুজান। গত বছর ব্যপক চর্চায় থেকেছে সুজানের ব্যক্তিগত জীবন। অভিনেতা আলি গোনির দাদা আরসলান গোনির সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে আবদ্ধ রয়েছেন হৃতিকের প্রাক্তন স্ত্রী তথা সঞ্জয় খান কন্যা, এমনটাই খবর বলিউডে। গত বছর ডিসেম্বর মাসেই ইনস্টাগ্রামে নিজেদের সম্পর্ককে অফিসিয়্যালও করে দিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে মাস কয়েক ধরেই অভিনেত্রী, সংগীত শিল্পী সাবা আজাদের সঙ্গে হৃতিকের প্রেমের চর্চা তুঙ্গে। নতুন সম্পর্কে জড়ালেও পুরনো সম্পর্কের বন্ধন এক্কেবারে ছিঁড়ে ফেলেননি হৃতিক-সুজান তা স্পষ্ট হয়ে গেল ফের একবার।