তিনি টলিপাড়ার অন্যতম ব্যস্ত এবং দক্ষ অভিনেতা। এই মুহূর্তে তাঁর সিনেমা ‘সন্তান’ চলছে, তারপরও একইসঙ্গে, একইদিনে (১০ জানুয়ারি) মুক্তি পেয়েছে ঋত্বিক চক্রবর্তীর ২টি ছবি। ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’ ও ‘অপরিচিত’। সেই দুটি ছবি নিয়ে Hindustan Times Banglaর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আরও নানান বিষয়ে নিজের মতামত ভাগ করে নেন ঋত্বিক।
কথায় কথা উঠে আসে আজকাল টলিপাড়ার বহু অভিনেতার রাজনীতিতে যোগদানের প্রসঙ্গ। ঋত্বিক চক্রবর্তীও কখনও অভিনয়ের পাশাপাশি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগদানে ইচ্ছুক?
প্রশ্ন শুনেই ঋত্বিক বলে ওঠেন, ‘আরে না না, রাজনীতি আমার বিষয় নয়। আমি যেটা করছি, সেটাই করতে চাই মন দিয়ে। মানে অভিনয়টাই করতে চাই।’
টলিপাড়ায় তো আজকাল অনেকেই অভিনয়, পরিচালনার পাশাপাশি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন…।
এবিষয়ে অভিনেতা বলেন, ‘আমার মনে হয়, এটা যাঁরা করছেন সেটা তাঁদের একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তবে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় রাজনীতি কোনও সখের বিষয় নয়। কেউ রাজনীতি করলে সেটা ফুল টাইম করা উচিত। কারণ এই পেশাতে ডেডিকেশন লাগে…।’
আরও পড়ুন-ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক! সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি টিকু তালসানিয়া
তবে ঋত্বিক চক্রবর্তী প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতি না করলেও সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায়শই তাঁকে নানান মতামত প্রকাশ করতে দেখা যায়। এমনকি রাজনৈতিক বিষয়েও ফেসবুকের পাতায় অনেকসময়ই নিজের মত লেখালিখি করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে দলনির্ভর রাজনীতি তিনি করতে নারাজ। কারণ, অভিনেতা মনে করেন দলনির্ভর রাজনীতিতে গেলেই অনেক দায়বদ্ধতা চলে আসে। তবে রাজনীতি না করলেও সব মানুষের নিজস্বরাজনৈতিক বোধ থাকে, আর তা থাকাই ভালো বলে মনে করেন ঋত্বিক।
প্রসঙ্গত, বেশকিছুদিন আগে 'সন্তান' বনাম 'খাদান' লড়াইয়ে ঋত্বিক চক্রবর্তীর একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। দেব ভক্তরা মনে করেছিলেন, সুপারস্টারকে আক্রমণ করেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। এবিষয়ে Hindustan Times Bangla-র কাছে ঋত্বিক নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে বলেন, ‘ওখানে কিন্তু আমি ‘সন্তান’ বা ‘খাদান’ নিয়ে কিছু বলিনি। ওখানে কিছু বোদ্ধার কথা বলেছিলাম, যাঁরা না বুঝেই অনেক কথা বলেন, তাঁদের কথা বলেছিলাম। যাঁরা ফেসবুকেই নিজেদের মান্যতা পান। আসলে তাঁদের উদ্দেশ্যেই কথাটা বলেছিলাম। হয়ত ভাষাটা একটু বদলে দিলে এত বিতর্ক হত না।’