স্টার জলসার আসন্ন মেগা ‘জল থই থই ভালোবাসা’র সঙ্গে ছোটপর্দায় কামব্যাক করছেন অপরাজিতা আঢ্য। সিরিয়ালের দ্বিতীয় প্রোমো সদ্য সামনে এসেছে। সেখানেই দেখা মিলল অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুরুতে জল্পনা তৈরি হয়েছিল এই সিরিয়ালে অপরাজিতা আঢ্য অর্থাৎ কোজাগরী বসুর মেয়ে তোতার (অনুশা বিশ্বনাথন) নায়ক হিসাবে দেখা যাবে অর্ণবকে। কিন্তু তোতার নায়ক নয়, তার ছোটদার ভূমিকায় অভিনয় করছেন অর্ণব। আরও পড়ুন-বাচ্চাদের পুলে ঝাঁপ দিয়ে পা ভাঙল ‘বুড়ি’ কোজাগরী অপরাজিতা! এল ‘জল থই থই ভালোবাসা’র প্রোমো
এর আগে স্টার জলসারই ‘আলতা ফড়িং’ সিরিয়ালে দেখা মিলেছে অর্ণবের। সেখানে নায়ক থেকে আচমকাই খলনায়ক হতে দর্শক দেখেছিল তাঁকে। তবে এবার আদ্যপান্ত একটা পজেটিভ চরিত্রেই থাকছেন তিনি, প্রমাণ মিলল প্রোমোতে, তবে চরিত্র নিয়ে বিশেষ কিছু ভাঙলেন না। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অর্ণব বলেন, 'হিরো সুলভ কোনও ব্যাপার নেই এখানে। একটা পরিবারের গল্প জল থই থই ভালোবাসা। এখানে আমি অপরাজিতা আঢ্যর ছোট ছেলের ভূমিকায়। বৃহস্পতিবার থেকেই আমি শ্যুটিং শুরু করেছি। চরিত্রটা নিয়ে এখনই খুব বেশি কিছু বলতে পারব না। এইটুকু বলব কোজাগরীর তিন সন্তান, আমি, তোতা এবং আমাদের বড় দাদাও রয়েছে'।
হাউস বদলে টেন্ট সিনেমার নায়ক, এখন ম্যাজিক মোমেন্টসে। এই চরিত্রটা বেছে নেওয়ার কারণ হিসাবে চ্যানেল আর লীনা গঙ্গোপাধ্যায়কেই এগিয়ে রাখলেন তিনি। অর্ণব জানান, 'আমার এই চরিত্রটা খুব ভালো লেগেছে। কলেজ পড়ুয়ার চরিত্র, সেটা খুব ইন্টারেস্টিং লেগেছে। আসলে আলতা ফড়িং-এর পর স্টার জলসাতেই আমি কাজ করতে চাইছিলাম, পাশাপাশি লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কাজ করতে চাইছিলাম। তাই জল থই থই ভালোবাসাটা বেছে নিলাম'।
আলতা ফড়িং-এর ফড়িং অর্থাৎ খেয়ালি মণ্ডলের সঙ্গে এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে অর্ণব। কারণ একই দিনে একই সময়ে জি বাংলা শুরু হচ্ছে ‘মিলি’, নাম ভূমিকায় অর্ণবের প্রাক্তন নায়িকা। টিআরপির লড়াই নিয়ে প্রশ্ন করতেই হাসি মুখে তাঁর জবাব, ‘না, আমাদের মধ্যে কোনও কম্পিটিশন নেই। আমি চাইব ওর প্রোজেক্টটা খুব ভালো হোক। সাথে সাথে চাইব আমার নতুন কাজটা যাতে খুব ভালো করে করি। কোনও প্রতিযোগিতা নেই, খেয়ালির জন্য সবসময় আমার শুভকামনা রয়েছে।’
আলতা ফড়িং শেষ হওয়ার পর আড্ডা টাইমস-এর একটি ওয়েব সিরিজের কাজ সেরেছেন অর্ণব। এছাড়া নিজেকে এবং পরিবারকে সময় দিয়েছেন অর্ণব। গত বছর ডিসেম্বরেই ইপ্সিতার সঙ্গে সামাজিক বিয়ে সারার কথা ছিল অভিনেতার। তবে সেইসময় দুজনের মধ্যে সাময়িক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সে-সব এখন অতীত। পরস্পরের হাত শক্ত করে ধরে রেখেছেন তাঁরা। কবে বিয়ের সানাই বাজছে? হাসিমুখে জবাব এল- ‘কোনও তাড়াহুড়ো নেই, কিছু ঠিক হয়নি। উই আর টেকিং থিংস স্লো। দেখা যাক, কবে কীভাবে ব্যাপারটা এগোয়। সব প্ল্যান হলে তো সবাই জানতেই পারবে, লুকোছাপার কোনও ব্যাপার নেই’।