সারেগামাপা-র দৌলতে বেশ চর্চায় রয়েছে কোলাঘাটের ছোট্ট শিল্পী অনীক জানা। বয়স সবে ৭, তবু এই বয়সেই বিচারক ও দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছিল অনীকের গান।সারেগামাপা- শেষ, আপাতত ছোট্ট অনীক রয়েছে তার কোলাঘাটের বাড়িতেই। আর এবার দোলে কীভাবে রং খেলল এই খুদে শিল্পী? তারই Exclusive কিছু মুহূর্ত উঠে এল আমাদের হাতে…।
যেখানে ছোট্ট ভাই অঙ্কনের সঙ্গে রং খেলতে দেখা যাচ্ছে অনীককে জানাকে। অনীকের সঙ্গে Hindustan Times Bangla-র তরফে যোগাযোগ করা হলে ছোট্ট শিল্পী জানায়, রং খেলতে তার ভালো লাগে। দোল উপলক্ষ্যে, পিচকারি, বন্দুক, রং , আবির সবই কিনেছে সে। অনীককে ফোন করা হয় ১৩ মার্চ, তখনও দোল উৎসব উদযাপন শুরু হয়নি।
রং খেলবে? প্রশ্ন করতেই উত্তর আসে, ‘হ্যাঁ, আমি পিচকারি, বন্দুক, রং , আবির সবই কিনে এনেছি।’ অনীক জানায়, ‘আমার মাসী, কাকিমণির সঙ্গে দোল খেলব। আর বাকিরা তো সবাই আমায় রং মাখাবে।’
আর ভাই?
অনীক বলে, ‘ওকে তো হাতে রং দিয়ে দেব, ও ছুড়বে। তবে হয়ে গেলে হাতটা ধুয়ে দিতে হব, নাহলে ওটাই যখন তখন খেয়ে নেবে ও।’ যেমন বলা তেমন কাজ। পূর্ব নির্ধারিত মতোই ১৪ মার্চ, শুক্রবার ২ বছরের ভাই-এর সঙ্গে রং খেলতে দেখা যায় অনীক জানাকে। চলুন দেখে নি অনীক জানার রং খেলা…।
আরও পড়ুন-অরিজিৎ-এর বাইক আটকে রং মাখিয়ে ভূত করলেন এরা কারা? জিয়াগঞ্জের রাস্তায় ঠিক কী ঘটল?
আরও পড়ুন-মদনপুরে নিজের গ্রামের বসন্ত উৎসবে সামিল, কীভাবে দোল খেললেন সারেগামাপা জয়ী দেয়াশিনী?
প্রসঙ্গত, কোলাঘাটের বাড়িতে যৌথ পরিবারে বাস অনীকের। সেখানে সে থাকে মা-বাবা, ঠাকুমা, দাদু ভাই, কাকিমা, জ্যেঠিমাদের সঙ্গে। আর বাড়ির সকলেরই আদরের এই খুদে। পাশাপাশি সারেগামাপা-র মঞ্চেও সে তার গান দিয়ে সকলের মন জয় করে নেয়।
এবার সারেগামাপা-তে সব বয়সের প্রতিযোগীরাই অংশ নিয়েছিলেন। ফলে বিজেতাও বাছা হয়েছে দুই দল থেকেই। বড়দের মধ্যে প্রথম হয়েছেন দেয়াশিনী। দ্বিতীয় স্থানে আছেন ময়ূরী ও সাঁই। তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন সত্যজিৎ। অন্য দিকে ছোটদের মধ্যে প্রথম হয়েছে অতনু। দ্বিতীয় স্থানে আছে ঐশী। তৃতীয় স্থানে অনীক। সৃজিতা চতুর্থ হয়েছে।