বক্স অফিসে একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছে উইনডোজ প্রোডাকশনের ছবি 'বহুরূপী'। গত ৮ অক্টোবর, পুজোর ছবি হিসাবে মুক্তি পেয়েছে 'বহুরূপী'। তারপর একের পর এক সাফল্য। ১ মাস পার করেও থামেনি নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবির সাফল্যের ঘোড়া। এখনও বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছবিটি।
ছবি আয় এই মুহূর্তে কত?
তবে শুধু বাংলার বক্স অফিসেই নয়, উইনডোজ প্রোডাকশনের তরফে Hindustan Times Bangla-কে জানানো হয় প্যান ইন্ডিয়ার বক্স অফিসে ইতিমধ্যেই ১৪ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে ছবিটি। ছবিটি ১২ কোটির গণ্ডি টপকে গিয়েছে বহুদিন আগেই। এবার প্রযোজনা সংস্থা জানাচ্ছে, ছবির ব্যবসা দেশব্যাপী ১৪ কোটিতে গিয়ে পৌঁছেছে। যা সত্যিই ‘রেকর্ড ব্রেকিং’ বললে ভুল হয় না।
এরাজ্য ছাড়াও বেঙ্গালুরু, ঝড়খণ্ড, ওড়িশা, বিহারেও সাফল্যের সঙ্গে এখনও চলছে 'বহুরূপী'। এই রাজ্যগুলির কোন সিনেমাহলে কখন বহুরূপী দেখানো হবে, সেই শো টাইমগুলি প্রযোজনা সংস্থার তরফে X হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয়েছে।
এদিকে মুক্তির ১ মাসের মাথায় গোটা দেশে ছবিটি প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেছেন, তাই সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েও উইনডোজ প্রোডাকশনের তরফে একটি পোস্ট করা হয়। প্রসঙ্গত, এক দুর্ধর্ষ ব্যাঙ্ক ডাকাতির গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে 'বহুরূপী' ছবিটি।
তবে শুধু ‘বহুরূপী’ই নয়, এই পুজোয় মুক্তি পেয়েছিল আরও দুটি বাংলা ছবি একটি 'টেক্কা' আরেকটি ‘শাস্ত্রী’। তবে এই তিনের মধ্যে সকলকে টেক্কা দিয়েছে উইনডোজের ‘বহুরূপী’। নেহাতই 'টেক্কা' দেওয়া নয়, বাংলা ছবির বক্স অফিসে ইতিহাস গড়ে ফেলেছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়ের এই ছবিটি। এর আগে টলি বাংলা বক্স অফিসের দেওয়া তথ্য অনুসারে মুক্তির ৩ সপ্তাহের মাথাতেই 'বহুরূপী'র লক্ষ্মীলাভ হয়েছিল ১২.৪২ কোটি টাকা। সেখানে বাকি দুটি ছবির মধ্যে 'টেক্কা'র ৩ সপ্তাহে মোট আয় ছিল ৪.৫ কোটি টাকা। সেখানে শাস্ত্রীর আয় ছিল ১.০৮ কোটি টাকা। তবে এই তথ্য মিলেছে গত ২ নভেম্বরের পোস্ট থেকে। তারপর 'টেক্কা' বা 'শাস্ত্রী'র আয় কোথায় পৌঁছেছে সেবিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি।
বহুরূপী ছবিটি পরিচালনা করেছেন নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। অভিনয় করেছেন আবির চট্টোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, ঋতাভরী চক্রবর্তী, প্রমুখ। এখানে উঠে এসেছে ব্যাঙ্ক ডাকাতির গল্প তাও বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে।
অন্যদিকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় 'টেক্কা'-তে অভিনয় করেছেন দেব-রুক্মিণী জুুটি, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। আর 'শাস্ত্রী'তে ছিলেন খোদ 'মহাগুরু' মিঠুন চক্রবর্তী-দেবশ্রী রায়ের জুটি, ছিলেন সোহম চক্রবর্তী।