ভোট মিটলেই নাকি সানাইয়ের সুর বাজবে টলিপাড়ায়! বনি-কৌশানির বিয়ের জল্পনা ঘিরে উত্তাল সোশ্য়াল মিডিয়া। একটি সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে লোকসভা ভোটের পরেই গাঁটছড়া বেঁধে ফেললেন এই লাভ বার্ডস। আজকাল যেখানে আকছাড় সম্পর্ক ভাঙছে, সেখানে বনি-কৌশানি একদম উলটো পথের পথিক। রুপোলি পর্দায় বহুবার সাত পাক ঘুরেছেন দুজনে, কিন্তু রিয়েল লাইফে কি সত্যিই বিয়েটা সারছেন?
প্রশ্নের জবাব খুঁজতে বনির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম আমরা। শুরুতে ফোনে অধরা নায়ক। কিছুক্ষণ পর নিজেই রিং ব্যাক করলেন। সাংবাদিকের সম্ভাব্য প্রশ্ন কী হতে পারে আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন, তাই প্রশ্ন শোনার অপেক্ষা না করেই বললেন, ‘বিশ্বাস করো খবরটা ঢপ, আমি জানি না ওই সংবাদমাধ্যমকে কে বলেছে লোকসভা ভোট মিলটেই আমরা বিয়ে করছি। আমরা কোনও ধারণা নেই। আমরা দুজনের কেউ কিন্তু বলেনি’।
এবার সেই অমোঘ প্রশ্ন, তাহলে বিয়েটা কবে করছে বনি-কৌশানি? অভিনেতা বলেন, ‘২০২৪- এ বিয়ের কোনও প্ল্যানই নেই। তবে আমরা ২০২৫- এ বিয়েটা করে নেব আশা করছি। দুজনের বাড়ি থেকেই বিয়ের সিদ্ধান্তটা আমাদের উপরই ছেড়ে দিয়েছে।'
শোনা যাচ্ছে, কলকাতায় নয় ডেস্টিনেশন বিয়ে সারবেন বনি-কৌশানি। খবরে সিলমোহর দিয়ে নায়ক বললেন, ‘হ্যাঁ, ইচ্ছে তো রয়েছে ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এর। কোডিভের আগে আমরা একবার বিয়ের প্ল্যান করেছিলাম। তখনই ভাবনাচিন্তা ছিল দুই পরিবার কোথাউ বাইরে গিয়ে যদি বিয়েটা সারতে পারি তাহলে মজা হয়। তারপর এসে কলকাতায় সবাইকে নিয়ে রিসেপশন। সেই ইচ্ছেটা এখনও রয়েছে। আমাদের দুজনের খুব পছন্দের জায়গা হল বালি (ইন্দোনেশিয়া) অথবা থাইল্যান্ডের কো সামুই। দেখা যাক কী হয়!’
বরবাদ ছবি দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছিলেন বনি সেনগুপ্ত। পরিচালক অনুপ সেনগুপ্ত ও অভিনেত্রী পিয়া সেনগুপ্তের একমাত্র সন্তান বনি। অন্যদিকে এক বিউটি কনটেস্ট জিতে রাজ চক্রবর্তীর নজরে আসেন কৌশানি। ২০১৫ সালে রাজ চক্রবর্তীর ‘পারবো না আমি ছাড়তে তোকে’-র সুবাদে বড়পর্দায় জুটি বাঁধেন দুজনে। সেই ছবির সেটেই মন দেওয়া-নেওয়া সেরে ফেলেছিলেন। তারপর সম্পর্কের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজও অটুট তাঁদের ভালোবাসা। কোনও বিতর্ক ছুঁতে পারেনি এই প্রেমকাহিনিকে।
নিজেদের সম্পর্কের ব্যাপারে বরাবরই খোলামেলা দুজনে। প্রেমের কথা কোনওদিন গোপন রাখেননি। প্রকাশ্যেই পরস্পরকে বলেছেন, ‘ভালোবাসি তোমায়’। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কৌশানি। জোড়াফুলের হয়ে লড়েওছিলেন কৃষ্ণনগর (উত্তর) বিধানসভা থেকে। অন্যদিকে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন বনি। পরে অবশ্য দল ছাড়েন।
এখন বনির ‘ঘরওয়াপসি’ হয়েছে। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার সেরেছেন নায়ক। তবে হিন্দুস্তান টাইমসকে বললেন, ‘আমি আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দিইনি। আসলে এখন পটিলিক্সটাকে আমি কেরিয়ার হিসাবে ভাবছি না। তবে ২০১৪ সাল থেকে আমি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত, প্রচুর চেনাশোনা মানুষ রয়েছে। তাদের যদি আমি হেলপ করতে পারি এইটুকুই। এইবার যখন দিদির বাড়িও গিয়েছিলাম উনি বললেন তুই এবার আমাদের হয়ে প্রচার কর। তখনই মনে হল, প্রচারমুখ হয়ে যেটুকু সাহায্য করা যায়, সেটা করব এর বাইরে কিছু নয়’।