টলিউডের অন্যতম পরিচিত মুখ দর্শনা বণিক। এখন তো তাল মিলিয়ে বলিউডের সিরিজেও নিয়মিত কাজ করছেন এই বঙ্গ তনয়া। সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে চর্চায় থেকেছেন এই সুন্দরী। গত বছরের শেষেই সৌরভ দাসের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছেন দর্শনা। নতুন দাম্পত্য় আর কাজ, দুটো নিয়েই ভীষণ ব্যস্ত তিনি।
এর মাঝেই সুখবর দিলেন নায়িকা! সঞ্জয় লীলা বনশালির নজরে টলিউডের এই সুন্দরী। তবে কি হীরামান্ডি পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চলেছেন দর্শনা? না, ব্যাপারটা তেমন নয়। আসলে, সম্প্রতি হীরামান্ডি-র হিট গান 'নজরিয়া কি মারি'তে একটি রিল ভিডিয়ো পোস্ট করেন দর্শনা।
লাল ভেলভেট লেহেঙ্গায় সেজে 'নজরিয়া কি মারি' গানে নাচলেন দর্শনা। তাঁর চোখের ইশারাতেই ঘায়েল হল ভক্ত মন। মধুবন্তী বাগচির সুরেলা কন্ঠে চারচান্দ লাগালেন সুন্দরী। দর্শনার সেই রিল বনশালি প্রোডাকশন-সহ নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে। এখানেই শেষ নয়, বনশালির ওয়াহিদা অর্থাৎ সঞ্জীদা শেখও প্রশংসা করেছেন দর্শনার।
স্বভাবতই দারুণ উচ্ছ্বসিত দর্শন। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার একটা ফটোশ্যুট ছিল, সেটটা এত সুন্দর ছিল যে আমার এই গানে রিল বানানোর ইচ্ছে হল। এমনি আমি সারাদিন নাচি, অনেকেই বলে কী দরকার! তবে আমার ভালো লাগে। এটা আমি পোস্ট করার পর সবাই প্রশংসা করেছে, বনশালি প্রোডাকশন, নেটফ্লিক্স, এমনকী সঞ্জীদা শেখ নিজেও আমার রিলটা ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছে। মজার ব্যাপার হল, আমি কিন্তু এঁনাদের কাউকে ট্যাগ করিনি। খুব ভালো লাগছে’।
দর্শনা রীতিমতো প্রশিক্ষিত নৃত্যশিল্পী। ছোট থেকে কত্থক শিখেছেন, এখন নিয়মিত নাচের তালিম নেন। সবচেয়ে বড় কথা হল, দর্শনার ‘কিসমত কানেকশন’ রয়েছে হীরামান্ডির এই ডান্স নাম্বারের সঙ্গে। অভিনেত্রী বর্তমানে নাচ শেখেন মুম্বইয়ের কোরিওগ্রাফার নিধি প্রভুর কাছে। তিনিই বনশালির ছবিতে গানটি কোরিওগ্রাফ করেছেন।
দর্শনা বললেন, ‘আমার ডান্স টিচারই হীরামান্ডিতে এই গানটি কোরিওগ্রাফ করেছেন। তবে আমার এখনও এই নাচটা তোলা হয়নি। বার কয়েক ওঁনার নাচের ভিডিয়োটা দেখেছি। ব্যাস, সেই দেখেই চেষ্টা করে নিলাম আর’।
হীরামান্ডি সিরিজ ইতিমধ্যেই দেখা হয়ে গিয়েছে দর্শনার। বলেলন, ‘বনশালি যে ধরণের ছবি করেন, সেটা ওঁনার নিজস্ব জঁর। শুরু থেকেই হীরামান্ডি নিয়ে এক্সাইটেড ছিলাম। সুদীপদার সিনেমাটোগ্রাফি তো হাঁ হয়ে দেখলাম। মাঝে একটু স্লো লেগেছে, কিন্তু সবমিলিয়ে খুব ভালো’।
দর্শনার নাচে মুগ্ধ সৌরভও। অভিনেত্রী বললেন, ‘দর্শনার রূপে সৌরভ তো খুব প্রসংশা করেছে। তবে সৌরভের থেকে ওঁর মা, মানে আমার শাশুড়ি মা খুব খুশি। উনি সবসময় চান আমরা দুজনে যাতে প্রচুর কাজ করি, শাশুড়িমা উত্তেজিত দেখে’।