হাগদা গ্রামে পোস্টমাস্টার হয়ে আসেন দামোদর দাস। তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে যায় গ্রামের মেয়ে মঞ্জরীর জীবন। কিন্তু একটি চিঠিই দামোদর ও মঞ্জরীর জীবন বদলে দেয়। কীভাবে বদলে যাবে তাঁদের জীবন? কী-ই বা ঘটবে! তা 'ডাকঘর'-এর স্ট্রিমিং শুরু হলে তবেই বোঝা যাবে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে কথা বলার সময় 'মঞ্জরী'-কে নিয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়।
'মঞ্জরী'র চরিত্রটি ঠিক কেমন?
দিতিপ্রিয়া : এই চরিত্রটি খুব একটা আলাদা নয়, মঞ্জরী একেবারেই আর পাঁচটা সাধারণ গ্রামের মেয়ের মতোই একটা চরিত্র। মেয়েটির চরিত্রের বিশেষত্ব হল ও মনের কথা মুখের উপর বলে দিতে পারে, ভেবেচিন্তে কথা বলে না। কিন্তু ও খুবই সরল। ওকে দেখলে সত্যিই ভালোবেসে ফেলবেন।
'ডাকঘর'-এ যেটা হাগদা গ্রাম, সেটা আসলে কোথায় শ্যুট করা হয়েছে?
দিতিপ্রিয়া : আমরা বর্ধমানের ওঁর গ্রামের গিয়ে শ্যুটিং করেছি। সেখানে শ্যুট করতে গিয়ে আমরা অনেকসময় ভয়-ই পেয়ে গিয়েছিলাম। ওয়েব সিরিজে সাপের দৃশ্য দেখবেন, ওখানে কিন্তু সত্যিই সাপ ঘুরে বেড়াত। এমনও হয়ছে শট দিচ্ছি, সাপ চলে এসেছে। একজনকে তো বিছে কামড়ে দিয়েছিল। তবে হ্যাঁ, বেশ মজা করেছি ওখানে শ্যুটে গিয়ে। গ্রামে যদিও আমি আগেও গিয়েছি, শহর ও গ্রামের মধ্যে মূল পার্থক্য হল শহরে মানুষজন অনেক জটিল, সে জায়গায় গ্রামের মানুষ ভীষণই সাদাসিধে। সেকারণেই হয়ত আমরা গ্রামের ওই মানুষগুলিকে ভালোবেসে ফেলি। মঞ্জরীও এমনই একটি চরিত্র। ভালোবাসার মতোই এই চরিত্রটি।
এটাকে কি একটা প্রেমের গল্প বলবে?
দিতিপ্রিয়া : ভালোবাসা তো অবশ্যই রয়েছে। তবে ভালোবাসার নানারকম দিক আছে। ভালোবাসার বিভিন্ন ধরনের গল্প থাকতে পারে, এখানে একাধিক চিঠি রয়েছে, প্রতিটি চিঠিকে নিজস্ব গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার গল্প রয়েছে। যেটা পৌঁছে দেবে পোস্টমাস্টার, আর ওর সঙ্গ দেব আমি মঞ্জরী। (হাসি)
মঞ্জরী ও দিতিপ্রিয়া দুজনের মধ্যে কতটা মিল, আর কতটাই বা অমিল?
দিতিপ্রিয়া : অমিলই বেশি। দিতিপ্রিয়া একটু লাজুক। ও ভেবেচিন্তে, ধীরে-সুস্থে কথা বলে। আর মঞ্জরী ঠিক বিপরীত। মঞ্জরী ভীষণ সাহসী, ওর যেটা মনে আসে সেটাই বলে দেয়। মঞ্জরী অত ভেবেচিন্তে কথা বলে না।
'ডাকঘর' চিঠির গল্প বলে, দিতিপ্রিয়ার জীবনে চিঠি কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
দিতিপ্রিয়া : ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ, যাঁরা আমার কাছের তাঁরা জানেন আমি চিঠি পেতে কতটা ভালোবাসি। কিছু স্পেশাল দিনে আমি চিঠি পেলে ভীষণই খুশি হই। কিছু চিঠি আমি ব্যক্তিগত সংগ্রহে রেখেও দিয়েছি। কার চিঠি সেটা যদিও আমি বলব না, চিঠি বিষয়টাই ভীষণ ব্যক্তিগত।
এখন তো হোয়াটসআপের যুগ, চিঠি লিখেছ কখনও?
দিতিপ্রিয়া : হ্যাঁ লিখেছি তো। কিছু বিশেষ দিনে বিশেষ কিছু মানুষকে আমিও চিঠি লিখেছি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া 'ডাকঘর'-এর ট্রেলারে দেখা গিয়েছে হাগদা গ্রামের একটা ভাঙাচোরা ভূতুড়ে পোস্ট অফিসে আসে পোস্টমাস্টার দামোদর দাস। গ্রামের ভাঙা পোস্ট অফিস ও কোয়ার্টারেই গুছিয়ে নিয়ে থাকতে শুরু করেন দামোদর, তাঁর সঙ্গে গ্রামের কিশোরী মঞ্জুরীর সখ্যতা তৈরি হয়। গ্রামের মেঠো সুরেই বয়ে চলছিল তাঁদের সম্পর্ক। হঠাৎ ঝোড়ো হাওয়ার মতো একটি চিঠি এসে সবকিছু বদলে যায়। চিঠির কারণে চলে যায় একটি প্রাণ। টানাপোড়েন শুরু হয় দামোদরের জীবন নিয়েও। কিন্তু তারপর? উত্তরটা অবশ্য 'ডাকঘর'-এর স্ট্রিমিং শুরু হওয়ার পরই জানা যাবে।