Jeet-Rukmini Exclusive: দেব আর আমার মধ্যে কোনও সমস্যা নেই, আর এখন তো রুক্মিণী হল- দ্য ব্রিজ: জিৎ

Jeet-Rukmini Exclusive: ‘বুম্বাদা-ঋতুদির জুটির সঙ্গে তুলনা টানাটাই উচিত নয়’, একইদিনে বাংলার বক্স অফিসে মুখোমুখি বুমেরাং ও অযোগ্য। কম্পিটিশন নিয়ে টেনশন নেই জিৎ-রুক্মিণীর।

ভোট উত্তেজনার পর্ব শেষ। এবার বক্স অফিসে পারদ চড়ার পালা। শুক্রবার টলিউডে একইসঙ্গে মুক্তি পেল জিৎ-রুক্মিণী জুটির প্রথম ছবি ‘বুমেরাং’ এবং প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ৫০তম ছবি ‘অযোগ্য়’।

মহিলা রোবটকে কেন্দ্রে রেখে পরিচালক সৌভিক কুণ্ডুর বুমেরাং। আদ্যপান্ত কমেডিতে মোড়া ছবি, প্রচারের মাঝে ফুরফুরে মেজাজে জিৎ-রুক্মিণী। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে একান্ত আড্ডায় ধরা দিলেন দুজনে।

এদিকে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ৫০তম ছবি, আর আপনাদের প্রথম, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে?

জিৎ: (মুচকি হেসে) কোনও প্রতিযোগিতায় নেই আমাদের মধ্যে। এখানে তুলনা করতে গেলে আমরা তো খুব দরিদ্র, কারণ ওঁদের ৫০তম ফিল্ম, আমাদের সবে প্রথম। আমাদের শুভেচ্ছা রইল ওই ছবির সঙ্গেও। ছবি ভালো হলে কোন জুটির কত তম ফিল্ম সেটা ম্যাটার করে না।

রুক্মিণী: আমার তো মনে হয় বুম্বাদা-ঋতুদির জুটির সঙ্গে তুলনা টানাটাই উচিত নয়। অল দ্য বেস্ট টু অযোগ্য। পুজোর সময় এতগুলো ছবির ফাইট হয়, সেখানে অযোগ্য আর বুমেরাং দুটো ছবির জন্যই আমার মনে হয় বাংলার হলে অনেকটা জায়গা রয়েছে। দুটো ছবিই ভালো চলুক, চাইব বুমেরাং একটু বেশি ভালো চলুক (হাসি)।

ইন্ডাস্ট্রিতে রুক্মিণীর বয়স তো ৭, এতদিন কেন সময় লাগল জিতের সঙ্গে কাজ করতে?

(নায়কের কোর্টে সরাসরি বল ঠেলে দিলেন নায়িকা)

জিৎ: এতদিন বুমেরাং হাতে আসেনি। সঠিক সময় হয়তো আসেনি একসঙ্গে কাজ করার। আগে যখন ওর কাছে যখন চিত্রনাট্য গিয়েছিল, সেটা ওর পছন্দ হয়নি। যে কোনও কারণেই হোক হয়ে ওঠেনি। রুক্মিণীর সঙ্গে আগে আমরা (জিৎ ফিল্মস) সুইৎজারল্যান্ডে কাজ করেছিলাম, অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত ছিল। তারপর বেশ কয়েকবার অ্যাপ্রোচ করার পরে যখন বুমেরাং হাতে আসে তখন নিশ্চিত ছিলাম পৃথিবীর যে কোনও নায়িকার কাছে এই চরিত্রটা গেলে কেউ ফেরাতে পারবে না। টাকা পয়সার ব্যাপারে অসুবিধা হলে আলাদা, কিন্তু শিল্পসত্ত্বার কথা মাথায় রাখলে কেউ এই ছবিটায় না বলতে পারবে না।
রুক্মিণী: একদম, এই ছবিটা কোনও পুরুষকে অফার করা হলেও সেও চরিত্রটা লুফে নিতো।

সম্প্রতি মহিলা রোবট নিয়ে বলিউডে তেরি বাতো মেঁ এয়সা উলঝা জিয়া হয়েছে, নকলের অভিযোগ নিয়ে কী বলবেন?

জিৎ: প্রায় পরপর দুটো ছবি মুক্তি পাচ্ছে। এটা কো-ইন্সিডেন্স। তবে দুটো ছবি একদম আলাদা। আমাদের ছবিটা পুনরায় রুবি রায় বলে একটা নাটক দ্বারা অনুপ্রাণিত। যা পরিচালনা করতেন আবিরের বাবা, ফাল্গুনী জেঠু (ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়)। টিজারের পর অনেকে ভেবেছিল হয়ত দু'টো ছবির মধ্য়ে মিল রয়েছে, ট্রেলার বেরানোর পর কিন্তু আর বলছে না। এবার তো দর্শকরা হলে ছবিটা দেখতে পাবে, তখনই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

বুমেরাং-এর সমর (জিৎ) তো ইশার (রুক্মিণী) ভয়ে কাঁটা, বাস্তবে জিৎ কি স্ত্রীকে ভয় পায়?

জিৎ: আমরা পরস্পরকে মিউচুয়াল রেসপেক্ট দিই। স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা রয়েছে, মাঝে টুকটাক যেরকম থাকে আর কী! ভয় পাওয়ার কোনও ব্যাপার দুপক্ষের নেই নেই। (জিৎকে কার্যত থামিয়ে দিয়ে)

রুক্মিণী: ওঁনার আর মোহনার খুব রোম্যান্টিক সম্পর্ক। পুরো রূপকথার প্রেম। সেই কারণেই তো কিছুমাস আগে তো আরেকটা ছেলে হয়েছে।

জিৎ: হ্যাঁ, বউ সুযোগ দিলে আরও দু-চারটে হতে পারে।

এত সম্পর্ক চারিদিকে ভাঙছে, দাম্পত্য নিয়ে রুক্মিণীকে কী টিপস দেবেন?

আগে গড়ুক। আগে (বিয়েটা) হোক।

দেব আর জিতের রেষারেষি নিয়ে সোশ্যালে দুই সুপারস্টারের ফ্যানেদের মধ্যে এত ঝামেলা, আর এখন মাঝখানে রুক্মিণী। তাই তো?

জিৎ: আশা করছি দেব ফ্যানেরাও বুমেরাং দেখতে আসবে। আর রুক্মিণীর এখন নতুন নাম হচ্ছে, রুক্মিণী- দ্য ব্রিজ। তবে আমার আর দেবের মধ্যে কিন্তু কোনও ঝামেলা নেই।

রুক্মিণী: ফ্যান ওয়ারটা কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায়। সবাই সবার সিনেমা দেখে। এটা তো ভালো যে জিতের ফ্যানেরা দেবের সিনেমা দেখবে, দেবের ভক্তরা এসেও জিতের ছবি দেখবে। দুটো ফ্যানক্লাবের মধ্যে পজেসিটিভিটি আনতে পারলে তার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। এমনিতেও চারিদিকে এত নেগেটিভিটি।

দেব কী বলল ছবির ট্রেলার দেখতে, ছবিটা দেখতে এক্সাইটেড নিশ্চয়ই?

রুক্মিণী: দেব তো চার-পাঁচবার ট্রেলারটা দেখেছে। ওর খুব রিফ্রেশিং লেগেছে। আমাকে স্পেশ্যালি বলল, জিৎ স্যারের লুকটা খুব ভালো লেগেছে। নিশাকে খুব ভালো লেগেছে।

আপনার ন্যাড়া মাথার লুকটা নিয়ে কী বলল দেব?

বলল, হ্যাটস অফ টু ইয়োর কারেজ। লোকে কীভাবে নেবে জানি না, তবে আমার দারুণ লাগছে।