৬ মার্চ নয়, আজই (২ ফেব্রুয়ারি) সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। হ্যাঁ, এদিনই একে-অপরের গলাতে মালা দেবেন কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টরাজ। শনিবার সকাল সকাল হয়ে গিয়েছে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানও।
নিয়ম মেনে শনিবার সকালে হয়েছে দধিমঙ্গল, নান্দীমুখ। হলুদ পাঞ্জাবিতে সেজেছেন ৫৩-র কাঞ্চন। শ্রীময়ী অবশ্য এই দিনের জন্য বেছে নেন লাল পাড় হলুদ শাড়ি। রাতের অনুষ্ঠানে লাল বেনারসি পরবেন শ্রীময়ী। তবে তার আগে বরের গায়ে ছোঁয়ানো হলুদে মাখামাখি হলেন শ্রীময়ী। তারই কিছু মুহূর্তে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন ফটোগ্রাফার তথাগত ঘোষ।
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের ছবি দেখে একটা কথা তো বলতেই হয়। বলিউডকেও হার মানাচ্ছে এই বিয়ে। মাথার উপরে হলুদ ফুলে সাজানো চাঁদোয়া। তারই নিচে বসে হলুদের মাখামাখি হন কাঞ্চন-শ্রীময়ীর। তারপর নবদম্পতি পাশাপাশি বসেই স্নান সারেন। এদিন হলুদ শাড়ির পাশাপাশি, মাথায় ও গলায় হলুদ ফুলের গয়নায় সেজেছিলেন কাঞ্চনের স্ত্রী। তখন তাঁর গোটা মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল নববধূর আভা।
জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ কলকাতার এক ব্যাঙ্কোয়েটে তাঁদের বিয়ের আসর বসেছে। এদিন সকাল থেকে শুধু মাত্র দুই পরিবারের উপস্থিতিতে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের আগের সমস্ত রীতিনীতি পালিত হয়। সন্ধের অনুষ্ঠানে শ্রীময়ী পরছেন লাল রঙের বেনারসি। আর কাঞ্চনের গায়ে থাকছে ডিজাইনার সাদা পাঞ্জাবি-লাল ধুতি। শুভদৃষ্টি, মালাবদল, সাতপাক, সিঁদুর দান— সবটা হবে রীতি মেনে। বিয়ের আগে হয়েছে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর আইবুড়ো ভাত ও মেহেন্দির অনুষ্ঠান।
জানা যাচ্ছে, প্রথমে ঠিক ছিল একজন ডিজাইনারের কাছ থেকে বিয়ের ড্রেস নেবেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তবে তাড়াহুড়োয় সেটা আর হয়ে ওঠেনি। শ্রীময়ী নিজেই নিজের বিয়ের ড্রেস ডিজাইন করেছেন। এমনকি কাঞ্চনের বিয়ের ড্রেসও তাঁরই ঠিক করে দেওয়া।
এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি আইনি বিয়ে সারেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী।