পুরোনো হিন্দি গানের রিক্রিয়েশন বা রি-মিক্স এখন বলিউড মিউজিকের নতুন ট্রেন্ড। ছবিতে নব্বইয়ের দশকের গানের নতুন একটা ভার্সন থাকবে না সেটাই আজকাল বিরল। নস্টালজিয়াকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা হোক বা সেইমানের গান তৈরির মতো ট্যালেন্টের কমতি, কারণ যাই হোক না কেন এই রিক্রিয়েশন কালচার এখন জাঁকিয়ে বসেছে বলিউড মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘হাঙ্গামা ২’-এর ‘চুরাকে দিল মেরা ২.০’।
অক্ষয় কুমার এবং শিল্পা শেট্টি অভিনীত ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’ (১৯৯৪) ছবির গানকে নতুনভাবে পেশ করেছেন আজকের জমানার দুই চর্চিত সংগীত শিল্পী, বেনি দায়াল এবং আমোল মালিক। মিউজিক ডিরেক্টর হিসাবে অবশ্য নাম রয়েছে অনু মালিকেরই। এই গানের অরিজিন্যাল ভার্সনটি গেয়েছিলেন কুমার শানু ও অলকা ইয়াগনিক। এই ব্যাপারে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে কুমার শানুর কাছে প্রশ্ন রাখা হলে কিছুটা হেসে গায়কের জবাব, ‘বেস্ট অফ লাক বলব ওদের সকলকে, এটাই বলব ভগবান ওদের মঙ্গল করুক… গানের সাফল্যও কামনা করব এইটুকুই’। শীঘ্রই সুপার সিঙ্গার সিজন থ্রি-র বিচারক হিসাবে দেখা মিলবে কুমার শানুর। এই রিয়ালিটি শো-এর শ্যুটিংয়ে আপতত কলকাতায় শানুদা। শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই ভার্চুয়ালি আড্ডা দিলেন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে।
এরপর কুমার শানুর আমাদের উদ্দেশে পালটা প্রশ্ন, ‘আপনার ভালো লেগেছে গানটা?’ নেতিবাচক জবাব শুনে কিছুটা থেমে বললেন, ‘আসলে কি বলুন তো আমি সবসময় রি-মিক্স, রিক্রেশনের পক্ষে। এই নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আমার মনে হয় অরিজিন্যাল গানের মেলোডিটা ধরে রাখা উচিত, সেটা নষ্ট না হয়ে যায়। এর জন্য সুযোগ থাকলে অরিজিন্যাল সিঙ্গারকে দিয়ে গানটা গাওয়ানো যেতে পারে’।
উদাহরণ হিসাবে কুলি নম্বর ১-এর প্রসঙ্গ টেনে আনলেন কুমার শানু। জানালেন, ‘ দেখুন বরুণ ধাওয়ানের কুলি নম্বর ১ ছবিতেও কিন্তু নব্বইয়ের গানের রিক্রেশন হয়েছে। সেই গানগুলো মানুষ কিন্তু দারুণ পছন্দ করছে। এই বিষয়গুলো প্রযোজকদের একটু ভাবতে হবে। আমরা রিক্রিয়েশনের জন্য গানের মাধুর্যটা নষ্ট না করে ফেলি সেটা মাথায় রাখতে হবে’।
আজকের জমানার গায়কদের মধ্যে কার গান শুনতে ভালোলাগে কুমার শানুর? সময় নষ্ট না করেই উত্তর দিলেন, ‘অরিজিত্ সিং। ওর গান আমি শুনি, ভালো লাগে। আরও অনেকে আছে, অনেকেই ভালো কাজ করছে’।