নুসরত জাহান ও নিখিল জৈনের সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে গত ছয় মাস ধরে আলোচনার শেষ নেই। তবে এই আলোচনা সম্পূর্ণ নতুন মোড় নিল বুধবার। নুসরত জাহান এদিন মিডিয়া বিবৃতি জারি করে বললেন, ‘নিখিল আর আমার বিয়ে আইনত অবৈধ, তাই বিচ্ছেদের প্রশ্ন নেই। নিখিলের সঙ্গে আমি লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলাম, যা বহুদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে’। নুসরত এখানেই থেমে থাকেননি বরং গুরুতর অভিযোগ এনেছেন নিখিল ও তাঁর পরিবারের নামে।
নুসরতের দীর্ঘ এক পাতার বিবৃতিতে আশ্চর্যজনকভাবে একবারও নাম নিখিলের নাম উল্লেখ করেননি অভিনেত্রী। কখনও ‘সামওয়ান’, কখনও ‘এনিওয়ান’ আবার ‘রিচ গাই’ হিসাবে সম্বোধন করেছেন নিখিল জৈনকে। নুসরত শুধু তুরস্কের বোদরুমে অনুষ্ঠিত বিয়েতে বেআইনি বলেননি নুসরতের অভিযোগ, নিখিল তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নিয়েছেন বিচ্ছেদের পরেও। তিনি বলেন, ‘আমি তাঁকে ব্যবহার করেছি বলে যিনি অভিযোগ করছেন, তিনি আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নিয়েছেন। রাতেরবেলা অদ্ভুত সময়ে টাকা নিয়েছেন বিচ্ছেদ হওয়ার পরেও। আমি ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টা জানিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি পুলিশেও অভিযোগ দায়ের করব’। অভিনেত্রীর দাবি, তাঁর এবং পরিবারের অনেকেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিখিল দেখাশোনা করতেন। নুসরতের অজান্তে এবং কোনওরকম অনুমতি না নিয়েই তাঁর টাকা ভুল ভাবে ব্যবহার করেছেন নিখিল। পাশাপাশি নুসরতের নিজস্ব গহনা সহ যাবতীয় স্ত্রীধন নাকি নিখিল ও তার পরিবার আটকে রেখেছে। এই গুরুতর অভিযোগ নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল নিখিল জৈনের সঙ্গে।
নিখিলের পরিষ্কারভাবে জানান, ‘আমি কোনওদিন মন্তব্য করব না ওঁনার (নুসরত) এই অভিযোগ নিয়ে। কারণ এই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। কোর্টে সিভিল স্যুট দাখিল করা রয়েছে। এবং আইনজীবীরা তাঁদের কাজ করছেন’।
গহনা আটকে রাখা নিয়ে পালটা প্রশ্ন করা হলে নিখিল বলেন, ‘ওই সব নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আপনারা সবাই জানেন আমি ওর জন্য কী করেছি না করেছি, তাই এই অভিযোগ নিয়ে কিছু বলবার নেই। কোর্টে যা ফাইল করবার আমি সেটা করে দিয়েছি’।
গত মার্চ মাসে নিখিল জৈন নুসরতের বিরুদ্ধে আলিপুর আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন। আগামী মাসের ২০ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।