নিজের শর্তে জীবন বাঁচেন তিনি, সমাজের চোখরাঙানিতে কোনওদিনই বিশেষ পাত্তা দেননি করিনা কাপুর খান। তাঁর বিয়ে থেকে সন্তানের নাম- সব নিয়েই বিতর্ক পিছু ছাড়ে না। করিনা যদিও ট্রোলারদের বরাবরই পাত্তা দেন না। সাফল্য থাকলে বিতর্ক যে পিছু ধাওয়া করবে এটা ভালোভাবেই জানেন বেবো।
'অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যৌন আগ্রহ হারিয়েছিলাম', নিজের প্রেগন্যান্সি বাইবেলে এমন মন্তব্য করেছেন করিনা। যা শুনে অনেকেই ভ্রূ কুঁচকেছেন। এবার নিজের মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। এইচটি ব্রাঞ্চ (HT Brunch)-কে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাত্কারে করিনা জানিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় না সেক্স নিয়ে কথা বলার জন্য সাহস দরকার হয়। এটা আমাদের জীবনের একটা অঙ্গ। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক একটা বিষয় এবং একজন নারী কী অনুভব করে সেটাকেও প্রভাবিত করে যৌনতা’।
‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল’-এ করিনা লিখেছেন, এটা খুব স্বাভাবিক যে এই সময় একজন নারী যৌনতার তাগিদ অনুভব করবে না। এমনকি সে নিজেকে ভালোবাসে না, এমনও মনে হবে কখনও কখনও। সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে মেয়েরা যায়। কিন্তু সমস্যা হল মানুষজন স্বচ্ছন্দ নয়, একজন মেনস্ট্রিম নায়িকা এইসব বিষয় নিয়ে কথা বলবে, মজার ব্যাপার হল অভিনেত্রীদের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দেখতেও তাঁরা খুব বেশি অভ্যস্ত নয়'।
তৈমুরের জন্মের আগে বয়স কম হওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বেশি এনার্জেটিক ছিলেন করিনা। তাঁর কথায়, ‘সেইসময় আমি অনেক বেশি বাইরে যেতাম, আড্ডা মারতাম, কিন্তু জাহাঙ্গীর আমার গর্ভে থাকাকালীন আমার নিজেকে একটুও সেক্সি মনে হতো না’।
এছাড়াও নিজের বইতে ‘স্পটিং’ (গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়ে ঋতুস্রাব), এবং ‘ব্রেস্টফিডিং’-এর মতো চ্যালেঞ্জ গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন করিনা। করিনা জানিয়েছেন, তৈমুরের জন্মের দু-সপ্তাহ পর্যন্ত তিনি স্তন্যপান করাতে পারেননি, কারণ তাঁর স্তন এক্কেবারে শুকনো ছিল। তিনি লিখেছেন, ‘আমার মা, নার্সেরা আমার স্তনে জোরে জোরে চাপ দিত, এবং তাঁরাও অবাক হত’।
করিনার এই বইয়ের পাতায় নিজের একান্ত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন, তৈমুর ও জাহাঙ্গীরের জন্ম দেওয়ার আগে ও পরে তাঁর সফর কেমন ছিল সেটাই মলাটবন্দি করা হয়েছে এই ‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল’-এ। নতুন আর হবু মায়েদের সাহায্য করবে এই বই, বিশ্বাসী বেবো।