বিদায়ঘন্টা বেজে গিয়েছে মোদক পরিবারের। একদম শেষের পথে মিঠাই। কিন্তু শেষলগ্নে এসে সবকিছুই হাতছাড়া হচ্ছে মিঠাইরানির। ফুলকিকে জায়গা ছাড়তে হবে, তাই ‘মনোহরা’ ভাঙা পড়েছে, সেই জায়গা তৈরি হচ্ছে নতুন সেট। শুধু সেট বদল হয়েছে তাই নয়, মিঠাইয়ের ‘ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ’ অর্থাৎ ধারাবাহিকের পরিচালক রাজন্দ্রে প্রসাদ দাসকেও ‘কেড়ে নিয়েছে’ ফুলকি। আর চলতি সপ্তাহের টিআরপি রিপোর্ট দেখে তো মুখ ভার মিঠাই ভক্তদের।
মাত্র তিন সপ্তাহ পুরোনো ‘রামপ্রসাদ’ টিআরপি তালিকায় ধরে ফেলল ‘মিঠাই’কে। হ্যাঁ, চলতি সপ্তাহে দুই মেগা সিরিয়ালেরই সংগ্রহে ৩.৭ নম্বর। যৌথভাবে স্লট পেয়েছে দুজনে। যদিও ১৫+ রেটিং চার্টে এগিয়ে রয়েছে মিঠাই। একথা কারুরই অজানা নয়, স্টার জলসার ‘রামপ্রসাদ’-এ বলরামের চরিত্রে অভিনয় করছেন সৌমিতৃষার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সায়ক চক্রবর্তী। বেস্ট ফ্রেন্ডকে টিআরপি তালিকায় ধরে ফেলে কেমন অনুভূতি সায়কের?
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে অভিনেতা জানালেন, 'প্রচণ্ড আনন্দ হচ্ছে এমন কিছুই নয়। সৌমিতৃষার সিরিয়ালটা যতটা ওর, ততটা আমারও। লকডাউনের সময় যখন বাড়ি থেকে সবাই শ্যুটিং হচ্ছিল, তখন সৌমিতৃষার মিঠাই সিরিয়ালের সমস্ত অংশগুলো সবটা আমার বাড়ি থেকে শ্যুট হয়েছে। আমি ওকে বাড়ি থেকে নিয়ে এসে, শ্যুট করে দিয়ে চ্যানেলে পাঠিয়েছি। মিঠাই-এর প্রতি তাই আমারও একটা ভালোবাসা রয়েছে'।
সায়কের সাফ কথা, তাঁদের বন্ধুত্বের মাঝে টিআরপি কোনও ফ্যাক্টর নয়। রামপ্রসাদের ‘বলরাম’ বললেন, ‘আমার কাছের বন্ধুর সিরিয়ালের টিআরপি কমে যাক আমি কোনওদিন চাই না। আমাদের মধ্যে টিআরপি সংক্রান্ত কোনও কথা কোনওদিন হয় না। আমাদের মধ্যেকার বন্ধুত্বটা খুব পবিত্র। আমরা কখনও কারুর খারাপ চাই না’।
রামপ্রসাদের সাফল্যের পুরো কৃতিত্বই টিমকে দিলেন সায়ক। জানালেন, ‘এটা সব্যদার সিরিয়াল, এছাড়ও সুস্মিলি রয়েছে, পায়েলদি রয়েছে। আমি সামান্য একটা সাপোর্টিং ক্য়ারেক্টার মাত্র। মানুষজন রামপ্রসাদকে এতো ভালোবাসা দিচ্ছে এটাই বড় পাওনা। আমি নিজের মতো করে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। শেষে আবারও বলব আমার আর সৌমিতৃষার মধ্যে কোনও রেষারেষি নেই'।
কবে শেষ হচ্ছে মিঠাই? সেই নিয়ে কোনও সদুত্তোর নেই। জানা যাচ্ছে, ‘ফুলকি’র শ্যুটিং পুরোদমে শুরু না হলে ‘মিঠাই ’ শেষ কবে হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না চ্যানেল। তবে হাতে আর বেশি সময় নেই, সে কথা অজানা নয় কারুর।