তোমাদের রানির যাত্রা শেষ, সেই স্লটে সোমবার থেকে পথচলা শুরু হল তেঁতুলপাতার। দুর্যানী ভক্তদের রোষের মাঝেই জলসার পর্দায় নতুন জুটি ঝিল্লি আর ঋষি। হ্যাঁ, ইতিমধ্যেই সিরিয়ালের প্রথম এপিসোড দেখে ফেলেছে দর্শক। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অষ্টমীর ব্যর্থতার পর এই মেগা দিয়েই ফের ছোটপর্দায় ফিরলেন ঋতব্রতা। আরও পড়ুন-বিয়ের মণ্ডপ থেকে পালিয়ে ট্রেনে প্রথম দেখা, ঋতব্রতা-গৌরব মনে করালেন জব উই মেট-এর গীত-আদিত্যকে
এবার তিনি ঋিল্লি চৌধুরী। প্রথম প্রোমোয় 'রানিং ব্রাইড' অর্থাৎ বিয়ের মণ্ডপ থেকে পালানো কনের ভূমিকায় দর্শক দেখেছে তাঁকে। নিজের নতুন মেগা নিয়ে নিয়ে দারুণ ঋতব্রতা। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বললেন, ‘প্রচণ্ড এক্সাইটেড। এই চরিত্রটা একদম আমার মতো। অষ্টমী শেষ হওয়ার একমাসের মধ্যেই আমি আবার সেটে ফিরেছি। এতদিন যেসব চরিত্র করেছি তার থেকে একদম আলাদা ঝিল্লি। প্রচণ্ড কথা বলে, প্রচণ্ড জলি। সব মিলিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়ার জন্য মুখিয়ে আছি’।
বাবার পছন্দ করা পাত্র নয়, বরং নিজের মনের মানুষ সানিকে বিয়ে করতেই বাড়ি থেকে পালিয়েছে ঝিল্লি। চলন্ত ট্রেনে একদম ডিডিএলজে-র কায়দায় হিরো টেনে তুলবে তাঁকে। তারপর ঝিল্লির অনর্গল সংলাপ বলার কায়দা, আর মুখচোরা গৌরবকে দেখে অনেকের মনে হয়েছে জব ইউ মেটের আইকনিক ট্রেনের দৃশ্যের সঙ্গে মিল রয়েছে তেঁতুলপাতার প্রোমোর। সেই প্রসঙ্গে ঋতব্রতা বললেন, ‘এটার জন্য আমি আর্শীবাদধন্য বলেই নিজেকে মনে করছি। লোকের যে আমাকে দেখে গীতের কথা মনে পড়েছে এটাই বড় প্রাপ্তি। নিঃসন্দেহে খানিকটা ব্যাপার তো রয়েছে, গীতের মতোই ঝিল্লিও প্রচণ্ড কথা বলে, খুব জলি একটা মেয়ে। ঝিল্লির জীবনেও ভালো-লাগা, খারাপ-লাগা সবটা রয়েছে। এগুলো দর্শক যখন এপিসোডগুলো দেখবে, আসতে আসতে বুঝতে পারবে’।
গাঁটছড়ার পর ফের ছোটপর্দায় গৌরব। জলসার সঙ্গে তাঁর অ্যাসোশিয়েশন চ্যানেলের প্রথম দিন থেকে। অভিজ্ঞ নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে উচ্ছ্বসিত ঋতব্রতা। বললেন, ‘গৌরবদা তো খুব সিনিয়র একজন অভিনেতা। ওঁনার সঙ্গে কাজ করতে পারাটা আমার জন্য বড় ব্লেসিং। আপতত কাজের বিষয় নিয়েই কথা হয়েছে, আশা করছি বন্ধুত্ব জমে যাবে’।
গোলাপি বেনারসির সঙ্গে বেগুনি ব্লাউজ আর গা ভরা গয়নায় সুন্দরী কনে ঋতব্রতা। খানিক আফসোসের সুরেই বললেন, ‘এখন কনে সাজতে আর ভালো লাগে না। এতবার কনে সেজে ফেলেছি কী বলব! তবে প্রোমোতে যে কনের লুকটা আমাকে দেওয়া হয়েছে, আমার খুব পছন্দের। বেনারসির সঙ্গে স্নিকার্সটা দারুণ কম্বিনেশন’।
পর্দায় নয় পালিয়ে বিয়ে করতে আগ্রহী ঝিল্লি, বাস্তবে ঋতব্রতার কী প্ল্যান? মুচকি হেসে জবাব এল, ‘আমার খুব সাধারণ বিয়ে করার ইচ্ছে রয়েছে। রানিং শাদি-র পথে হাঁটব না। তবে হ্যাঁ, অ্যারেঞ্জ নয় আমি লাভ ম্যারেজে বিশ্বাসী’।
ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে তেঁতুলপাতার নতুন প্রোমো। সেখানে দেখা গেল লাট্টুনগরে ঋষির হাত ধরে প্রেমিক সানির খোঁজে হাজির ঝিল্লি। অথচ সানির দেখা নেই! ঝিল্লির ‘বাঁদরামিতে’ ভারী বিরক্ত ঋষি। এই অ্যাডভেঞ্চারের শেষ কোথায়? কোথায় শুরু ঋষি-ঝিল্লির প্রেমপর্ব? উত্তর মিলবে স্টার জলসার পর্দায় প্রতিদিন সন্ধ্যে ৬টায়।