দেব-রুক্মিণী নাকি স্বস্তিকা-সৃজিত, এবার পুজোয় কে কাকে 'টেক্কা' দেবে, তা দেখার অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন সিনেমাপ্রেমী দর্শকরা। ‘টেক্কা’য় 'মায়া' রূপে ধরা দেবেন রুক্মিণী। তবে তার আগে এবার পুজো কাটানোর পরিকল্পনা নিয়ে নানান কথা Hindustan Times Bangla-র কাছে খোলসা করলেন রুক্মিণী মৈত্র।
পুজোর পরিকল্পনা কী?
রুক্মিণী- এবছর পুজো বলতে আমার জন্য 'টেক্কা'-ই সব। এই মুহূর্তে মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা করছি, যে টেক্কা খুব ভালোভাবে চলুক, অনেকবেশি দর্শকদের কাছে পৌঁছক। এই মুহূর্তে আসলে টেক্কা নিয়েই ব্যস্ত। এবার পুজোর পুরো পরিকল্পনাই টেক্কা-কে ঘিরে।
কাজের বাইরে অন্যকোনও পরিকল্পনা…
রুক্মিণী - কাজ ছাড়া এই পুজোর সময়টা যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো। মা-তো কলকাতাতেই থাকেন, তবে আমার দাদারা দিল্লিতে থাকেন। তাই পুজোয় দিল্লিতে যাওয়ারও একটা পরিকল্পনা করেছি। ছুটির সময় যেহেতু এখানে সেভাবে কাজ হয়না, আর পুজোতে কলকাতায় তো সেভাবে বেরনো হয়ে ওঠে না। তাই দিল্লিতে যাওয়ার কথা ভাবছি। ওখানে আমি একটু ঘুরতে ফিরতে পারি।
আর একটা বিষয় পুজোতে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হল ছোটবেলার কিছু বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, সেই পরিকল্পনাও রয়েছে। পুজোতে একটা আড্ডা মাস্ট। আমাদের বন্ধুদের মধ্যে যেটা হয়, পুজোতে আমার মতোই যারা রান্না পারে না, তারা নানান ভুলভাল রেসিপি এক্সপিরিমেন্ট করে, সেটা বানিয়ে একে অপরকে খাওয়ানো হয়। যারা রান্না পারেনা, তাদের বানানো খাবার খাওয়াটাই থাকে চ্যালেঞ্জ।
আর কেনাকাটা?
রুক্মিণী- ছোটবেলায় ছিল ১০দিনের ১০টা জামা হত। সকাল-বিকেল করে পরতাম। বাঙালিদের কাছে পুজোটা আসলে একটা আবেগ। এই সময় নিজে কেনার থেকেও বাড়ি বড়দের থেকে জামাকাপড় পাওয়াটা একটা দারুণ আনন্দের বিষয়। লোকে যেমন ১ জানুয়ারি নতুন বছর সেলিব্রেট করেন, আামার কাছে আবার দু্র্গোপুজোতেই সবকিছুর নতুন শুরু হয়। ছোটবেলায় সত্য়িই অনেক উপহার পেতাম। তারপর যত বড় হয়েছি, মডেলিং, অভিনয় জগতের সঙ্গে জুড়েছি, তখন তো রোজই নতুনভাবে সাজতে হয়। তাই মনে হয় পুজোর দিনগুলো একটা বিরতি নি। সাজাগোজ থেকে বিরতি। সাজতে অবশ্য আমি খুব বেশি পছন্দও করি না।
তবে হ্যাঁ, অষ্টমীর সকালের সাজটা আমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন মা আমার জন্য একটা লালপাড়ে সাদা শাড়ি, কিংবা লালের উপর কোনও শাড়ি রেখে দেন। তবে ছোটবেলায় যেমন মনে হত, ১০টা জামা চাই-ই চাই, এখন আর সেটা মনে হয়না।
পুজোর উপহার পেতে তবু তো ভালো লাগে…
তা তো লাগেই। তবে এখন দেখি আমার বাড়ির বড়রা আমার প্রফেশনটাকে একটা অজুহাত করে নিয়েছে। ও তো রোজই ভালো জামা পরে, ওকে আর কী দেব! এবার ভাবছি তাই অনলাইন পেমেন্ট অ্যাপের লিঙ্ক পাঠিয়ে দেব, বলব, যা দেওয়ার এখানে দিয়ে দাও। আমি কিনে নেব সময় মতো। (হাসি, একটু থেমে) আরে এটা কিন্তু মজা করলাম।
তবে আমার দিদা-দাদু এখনও উপহার পাঠান, ওঁরা কখনওই ভোলেন না। জন্মদিনেও পাঠান, আমিও পাঠাই। আমাকে শুধু নয়, মা-মাসি, ভাইবোন সকলকেই।
ভাইঝির জন্য কিনেছেন নিশ্চয়..
আমাইরা, ওর জন্য দুর্গাপুজোর অপেক্ষা করতে হয় না। সারা বছরই ওর দুর্গাপুজো। ওকে আমি এমনই ভালোবাসি, ওকে বলতেও হয় না যে পিপি আমার এটা চাই বা ওটা চাই। ও না চাইতে আমি ওকে সবদি। ওকে আমি আমার মেয়ের মতোই দেখি কিংবা তারও বেশিকিছু। আমার মনে হয়, ও আমারই ছোটবেলা। কিছু হলেই ও আমাকে বলে।
আর ওর তো এই পুজোর মাসেই জন্মদিন, ২০ তারিখ। ঠিক দুর্গাপুজোটা শেষ হলেই। ওটাও একটা কারণ আমার কাছে এই সময়টা দিল্লিতে যাওয়ার। আমার মনে হয় আমাইরা এখন যেন আমার ছোটবেলাটা উপভোগ করছে। ও-ই তো সকলের অ্য়াপেল অফ দ্য আই। আর দাদা বৌদিকে আমি বলেই দি, তোমরা বড়, আমি তোমাদের কিছু দেব না। বড়দের থেকে শুধু ছোটরা পাবে। (হাসি)