সদ্য শেষ হয়েছে মুম্বইয়ে আয়োজিত সেই রাজকীয় বিয়ের আসর। টানা ২মাস ধরে নানান অনুষ্ঠানের পর সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন রাজকুমার ও রাজকুমারী। রাধিকা-অনন্তের এই বিয়ে যেন ছিল এক রূপকথার আসর! গোটা দেশ-বিদেশের নানান তারকা ব্যক্তিত্বের সঙ্গে টলিপাড়া থেকেও আমন্ত্রিত ছিলেন বেশ কয়েকজন তারকা। তবে তাঁদের মধ্যে সবথেকে বেশি যিনি নজর কেড়েছেন তিনি হলেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র।
বলাইবাহুল্য, টলিপাড়া থেকে নিমন্ত্রিত তারকাদের মধ্যে একমাত্র রুক্মিণীকেই আম্বানি পুত্র ও বউমার সঙ্গে দেখা গিয়েছে। বিয়ের আসর থেকে নিজেই সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী, নব-দম্পতিকে সেই ভালোবাসার বিয়ের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু রুক্মিণীর কাছে কেমন ছিল আম্বানিদের সেই রাজকীয় বিয়ের অভিজ্ঞতা? অভিনেত্রীর সঙ্গে কী কথা হয়েছে নব-দম্পতির? এবিষয়ে তাঁর সঙ্গে Hindustan Times Bangla-র তরফে যোগাযোগ করা হলে, রুক্মিণী নিজেই সবটা সেকথা খোলসা করেন।
রুক্মিণী বলেন, ‘গতমাসে আমার জন্মদিনের ঠিক আগেই এই নিমন্ত্রণপত্র এসেছিল। আমার তিনদিনই যাওয়ার কথা ছিল। আর আমি এমনিতেও গত এক সপ্তাহ ধরে মুম্বইতেই রয়েছি একটা বিজ্ঞাপনের কাজে। তবে শ্যুটিংয়ের জন্য যেতে পারিনি। রিসেপশনের আগের দিনও দ্বিধায় ছিলাম যে যাব কি যাব না! কারণ, বৃষ্টির কারণে মুম্বই-এ এখন যা অবস্থা হচ্ছে…! তার উপর গত ৩-৪দিন ধরে শ্যুটিং করছিলাম। তবে শেষপর্যন্ত অনুষ্ঠানে পৌঁছে যাই। যদিও দেড়িতেই পৌঁছেছিলাম।’
অনন্ত-রাধিকার রিসেপশনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন?
রুক্মিণী বলেন, ‘খুবই ভালো অভিজ্ঞতা। সবকিছু খুবই অরগানাইজড। ওঁরাই দেখা হতে কথা বললেন। খুবই ডাউন টু আর্থ ওঁরা, ভীষণভাবেই…। খুব সুন্দরভাবে আদর-আপ্যায়ন করেছেন ওঁরা, অতিথিদের দেখভাল করেছে। সবার সবটা খেয়াল রাখছেন। সত্যিই তুলনা নেই।’
রুক্মিণী বলেন, ‘আমি নব-দম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাই। বিয়ের প্রসঙ্গেই কথা হল। আমার শ্যুটিং নিয়েও কথা হল। পরে নীতা ম্যাম, মুকেশ স্যারের সঙ্গেও আমার কথা হয়। ওঁরা কিন্তু সমস্ত অতিথিদের নিয়ে খোঁজখবর রেখেছেন দেখলাম।’
অনেকেই আম্বানিদের বিয়েতে পরা আপনার পোশাকের প্রশংসা করছেন। কীভাবে বেছেছিলেন এই পোশাক?
রুক্মিণী জানান, 'আমি ভীষণই সিম্পল, আবার একইসঙ্গে আর্টিস্টিক, ক্লাসিক কোনও পোশাকে সাজতে চেয়েছিলাম। যেটা আমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই, তেমন কোনও ড্রেস চেয়েছিলাম। সেটা আমি আমার স্টাইলিসকে বলি। তবে ফ্যাশানের ক্ষেত্রে সবসময়ই আমারও কিছু বক্তব্য থাকে। এরপর দিল্লির একজন ফ্যাশান ডিজাইনার রিমঝিম দাদু, ওঁর সঙ্গে কথা হয়। আমি ঠিক কেমন চাইছি ওঁকে জানিয়ছিলাম। তখন উনি এই পোশাকটা আমায় বানিয়ে দেন। আমি ভীষণ খুশি যে আমার পোশাক সবার ভালো লেগেছে। ওদেরও বেস্ট ড্রেস লিস্টে এটা আছে। এটা নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে দেখে আমার সত্যিই সেটা ভালো লাগছে। (হাসি) আর সবথেকে বড় কথা, আমি ওই পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য ছিলাম।