বড় পর্দায় সব্যসাচী চৌধুরী ফিরছেন 'সাধক বামাক্ষ্যাপা' রূপে। সেই খবর শুক্রবার এফভিএফ এবং হইচইয়ের 'গল্পের পার্বণ ১৪৩২' অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয়েছিল। ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন সায়ন্তন ঘোষাল। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সব্যসাচীও। তাঁর ছবি প্রসঙ্গে হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার সঙ্গে নানা কথা ভাগ করে নেন অভিনেতা।
২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতেই শেষ সম্প্রচারিত হয়েছিল জনপ্রিয় মেগা 'মহাপীঠ তারাপীঠ'। সেই ধারাবাহিকেই সাধক বামাক্ষ্যাপা রূপে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন সব্যসাচী। তার ঠিক ৩ বছর পর ফেব্রুয়ারিতেই প্রকাশ্যে এল ছবির খবর। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন, 'গত কয়েক মাস ধরে ছবি চিত্রনাট্য নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। একদম প্রথম দিন থেকে এই প্রোজেক্টের সঙ্গে আমি যুক্ত। অবশেষে ছবির ঘোষণা হল। অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি আমরা ছবিটা নিয়ে দর্শকদের কাছে আসতে পারব। তাঁদের আশাকরি ভালো লাগবে।'
আরও পড়ুন: বহু বছর পর বড় পর্দায় ফের প্রসেনজিৎ-চিরঞ্জিত জুটি! কোন ছবিতে দেখা যাবে তাঁদের?
তবে একটা চরিত্র বহুদিন দিন করার পর সেটা দর্শকদের মনে গেঁথে যায়। সেই চরিত্রটাকেই ফের বড় পর্দায় কীভাবে পাবেন দর্শকরা? আর ছবিটা থেকে নতুন কী কী পাবেন তাঁরা? প্রশ্নে নায়কের জবাব, 'ছোট পর্দা আর বড় পর্দা দুটো মাধ্যম তো সম্পূর্ণ আলাদা। ছোট পর্দার ক্ষেত্রে হয়তো গল্পের খাতিরে অনেক সময় অনেক কিছু বাড়িয়ে দেখানো হয়। ছবির ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব রিলেটেবল ভাবে বিষয়টাকে ফুটিয়ে তোলা হবে। বেশ কিছু পরিবর্তন তো করতেই হয়েছে। তুলনামূলক ভাবে ছবির ক্ষেত্রটা একটু কঠিন কারণ বেশ কিছু জায়গায় চরিত্রটার একটু টোন ডাউন করতে হবে। তবে সেটা কাজটা যখন করতে শুরু করব আরও ভালো করে বোঝা যাবে।'
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় গল্পটাই আসল। একটা ছবির ক্ষেত্রে তো গল্পটা কম্প্যাক্ট হয়। আমাদের মেগাটা ৩ বছর ২ মাস ধরে চলেছিল। ফলে আমার মনে হয় গল্পটাই এখানে আসল। আর সেটাই ছবিটাকে অনেকটা আলাদা করে দেবে।’
প্রসঙ্গত, মেগার শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফেসবুকে একটি মন খারাপ করা পোস্টে লিখেছিলেন, ‘এযাবৎ কত সিরিয়াল যে শুরু হয়েছে আর কতই যে শেষ হয়েছে, তা খোদাই জানেন। ২০১৫ সাল থেকে আমার নিয়মিত স্টুডিওপাড়ায় যাতায়াত, টালিগঞ্জ মোড়ের মাথায় যে আমি আজ অবধি কতগুলো ধারাবাহিকের হোর্ডিং পাল্টাতে দেখেছি তা নিজেই গুনে শেষ করতে পারবো না। আসলে সময়ের সাথে হোর্ডিং পাল্টায়, মুখ এক থাকলেও পরিচয় পাল্টায়, পুরোনো পোস্টার ছিঁড়ে নামিয়ে নতুন পোস্টার সাঁটা হয়। নারকেল ফাটিয়ে, ক্যামেরা পুজো করে যে কাজ শুরু হয়, সময়ের সাথে সবাই তা ভুলেও যায়। এটাই বাস্তব, এটাই জীবন।’