টলিউডের আকশে-বাতাসে শিলাজিৎকে নিয়ে ভেসে বেড়ায় নানান গুঞ্জন। যার মধ্যে অন্যতম হল, তাঁর ‘প্রেমিক স্বভাব’। বেশ অনেকগুলো বছর আগে, অভিনেতা-গায়ক জানিয়েছিলেন ডিভোর্সের পথে হাঁটছেন তিনি ও ইলিন। যদিও সেই ডিভোর্সটা হয়নি। তাহলে কি সবটা মিটমাট করে নিয়েছেন দুজনে? দুজনের রিলেশনশিপ স্টেটাস কী? হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে, সম্প্রতি এই কথাই জানতে চাওয়া হয়েছিল ‘পর্দার ঋত্বিক ঘটক’-এর কাছে। আর তাতে জবাব আসে, ‘আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব আছে। দূরত্বটা আছে বলেই আমরা কাছাকাছি আছি…’
কথা মূলত চলছিল তাঁর ‘অলক্ষ্যে ঋত্বিক’ সিনেমা নিয়ে। তারই মাঝে এমন ব্যক্তিগত জীবনে উঁকিতে মোটেও অসন্তুষ্ট হলেন না তিনি। বেশ হাসতে হাসতেই জবাব এল, ‘আমি একবারই বিবাহিত। মাঝে একটা সুযোগ এসেছিল ঠিকই অবিবাহিত হওয়ার, যেদিনকে ফার্স্ট হিয়ারিং ছিল, ইলিনা আমাকে ফোন করে বলল, আমি ডিভোর্স দেব না!’
তাহলে কি সব ঝামেলা মিটে গেছে? শিলাজিতের স্বীকারোক্তি, ‘দেখো আমাদের ৪০ বছরের বন্ধুত্ব হতে চলল। একে-অপরের প্রতি আমাদের অনেক দুঃখ-দুর্দশা, খারাপ লাগা আছে। সবার থাকে। কিন্তু দিনের শেষে কি আমি মাকে ডিভোর্স দিতে পারব। সেরকমই, এত দিনের বন্ধুত্ব। হঠাৎ করে বলা যায় নাকি, তোমার মুখ আর দেখব না। তারপর আমাদের একটা ফসল আছে। ধী মজুমদার। ওরকম ট্যালেন্টেড একটা ছেলে। সে ক্যাবলা হয়ে ওরকম এদিক ওদিক ঘুরবে। এটা কি হয়?’
‘আমরা একে-অপরকে সম্মান করে এসেছি। দুজনের মনেই রাগ ছিল। কিন্তুতুমি খেয়াল করে দেখবে, যে আমরা প্রেস বা অমুক-তমুক, কোথাও কোনো বাজে কথা বলিনি। না আমরা এসব চাই। আমার বন্ধুবান্ধবদের যখন দেখি, ওরা কথা বলে ফেলছে, এই ইন্ডাস্ট্রির, আমি বারণ করি, বলি কেন ব্যক্তিগত জীবন সামনে আনবি ভাই। তোর যার উপর রাগ তাকে বল, প্রেমিকাকে বল, বউকে বল। কাগজকে কেন বলবি? আমার জীবনেও যখনঅশান্তি হচ্ছিল, দেখলাম থার্ড পার্সন, ফোর্থ পার্সনরা বেশি ইনভলভড হয়ে যাচ্ছে। তো আমি আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, এটা তোমার-আমার ব্যাপার।আর তারপর যদি আর কেউ থাকে তাহলে আমাদের ছেলে, তোমার মা-বাবা, আমার মা-বাবা। তার বাইরে মাথা ঘামানোর দরকার নেই।’, আরও বলেন শিলাজিৎ।
গায়ক-অভিনেতা জানান, ইলিনার আইনজীবীরা যখন শিলাজিতের কাছে ডিভোর্সের চিঠি পাঠান, সেট দেখেই মাথায় হাত পড়ে যায় তাঁর স্ত্রীর। ‘ও বলছে, এ তো ভুলভাল। উকিল বলছে, 'না এভাবেই করতে হবে…!' সে যাই হোক, আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব আছে। দূরত্বটা আছে বলেই আমরা কাছাকাছি আছি। আমাদের যখনই প্রয়োজন হয়, আমাদের কথাবার্তা হয়। কোনো কিছুতেই সমস্যা নেই। সামনে যে টুকু জীবন আছে, তাতেও একসঙ্গে থাকব। কারণ এর থেকে বেশি পরিচিত বন্ধু অন্তত আমার তো নেই! এটা মিস করতে চাই না আমি।’
এরপর খানিক স্বগোক্তির স্বরেই শিলাজিৎ বলেন, ‘সে-ই বা আর কত খারাপ হবে। আমিই বা আর কত খারাপ হব। আর খারাপ হলে, একটু হই না…’