টলিপাড়ার পাওয়ার কাপেল সৌরভ-দর্শনা। দেখতে দেখতে দাম্পত্য জীবনের এক বছর পার করে ফেলেছেন দু'জনে। কিন্তু তাঁদের মধ্যকার বন্ধুত্ব, প্রেম, রসায়ন এখনও চর্চার বিষয়। এদিকে ক্যালেন্ডারের পাতা বলছে এটা প্রেমেরই সপ্তাহ। সামনেই ভ্যালেন্টাইন্স'ডে এদিন কাজের ফাঁকে নিজেদের জন্য কীভাবে সময় চুরি করে নেবেন তাঁরা? হিন্দুস্থান টাইমস বাংলাকে জানালেন সৌরভ-দর্শনা।
তাঁরা জানিয়েছেন এই প্রেমদিবসে একসঙ্গে থাকছেন না তাঁরা, বাদ সেধেছে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ আর বিয়েবাড়ি। বর্তমানে সিসিএল (সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ) নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত নায়ক। আর পরবর্তী ম্যাচের জন্য কটকে যেতে হচ্ছে তাঁকে, তাই স্ত্রীয়ের সঙ্গে থাকতে পারবেন না সৌরভ। এই প্রসঙ্গে নায়ক বলেন, '১৪ তারিখ বেরিয়ে যাব সিসিএল-এ খেলার জন্য। ভ্যালেন্টাইন্স'ডে-তে আমরা একসঙ্গে থাকতে পারছি না। তবে ১৫ তারিখ দর্শনা আমাদের খেলা দেখতে কটকে আসবে।' কিন্তু প্রেমের দিনে স্ত্রীকে কি কোনও সাইপ্রাইজই দেবেন না সৌরভ? প্রশ্নে নায়ক হেসে বলেন, ‘সারপ্রাইজ দিতেই থাকি, তবে সেটা যদি থাকেও এখন বলতে পারব না, তাহলে তো আর সারপ্রাইজ থাকবে না।’ এরপরই অভিনেতা বেশ রসিকতা করেই বলেন, 'তবে দর্শনা ওঁর প্রথম ভ্যালেন্টাইন'-র সঙ্গে থাকবে, ওঁর বাবা।'
আরও পড়ুন: 'পথ চলা শুরু...', ১২ বছরের সম্পর্ক ভেঙেছে! ফের কাছাকাছি সৌপ্তিক-রণিতা, জুড়ছে ভাঙা প্রেম?
অন্যদিকে, দর্শনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী জানান ১৪ তারিখ তাঁর বিয়েবাড়ি আছে তাই সৌরভের সঙ্গে কটকে যেতে পারছেন না। নায়িকার কথায়, 'ভ্যালেন্টাইন্স'ডেতে আমাদের এবার একসঙ্গে থাকা হবে না। কারণ ১৪ তারিখ সৌরভ বেরিয়ে যাবে, আর ওই দিন আবার আমার একটা বিয়েবাড়ি আছে তাই ওঁর সঙ্গে আমার যাওয়া হবে না। তাই আমরা ১৩ তারিখ বাইরে একটু খাওয়া দাওয়া করব রাতে। তবে বাহ্যিক ভাবে আমরা কাছাকাছি না থাকতে পারলেও মানসিক ভাবে আমরা সব সময় একে অপরের পাশে থাকি।'
কিন্তু স্কুল কলেজে পড়ার সময়টা ভ্যালেন্টাইন ডে কেমন ভাবে কাটত তাঁর? অভিনেত্রী বলেন, ‘সেই সময় তো আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই দিনটায় শুভেচ্ছা জানাতাম। তাছাড়া বন্ধুরা একে অপরকে বা সিনিয়র দাদা-দিদিদের, জুনিয়রদের উইশ করতাম। সবাই সবাইকে কার্ড, গোলাপ এইসব দিত। তখন এইসবের খুব চল ছিল। কিন্তু জানি না এখন এসব হয় কিনা। তখন টিউশন পড়তে গিয়েও একে অপরকে গোলাপ দেওয়া বা এই ব্যাপারগুলো চলত। আর তখন যেহেতু বয়ঃসন্ধির সময় তাই এগুলোর গুরুত্বও আলাদাই ছিল। তখন এই দিনগুলো নিয়ে খুব বেশি উত্তেজিত থাকতাম। কোন দিন কী ডে সব মুখস্থ ছিল। এখন ভুলে গিয়েছি। এখন শুধু এই ভ্যালেন্টাইন ডেটাই খেয়াল থাকে।’
কিন্তু প্রেম মানেই তো শুধু কার্ড আর গোলাপ নয়, এর সঙ্গে প্রেমপত্রেরও একটা যোগ রয়েছে। স্কুল কলেজের দিনগুলোতে এরকম প্রেমপত্র দেওয়া নেওয়ার কি হত? ‘হ্যাঁ সেই সময় প্রেমপত্র দেওয়া নেওয়া সবই হয়েছে। হয়তো তাঁর মধ্যে একটা দুটো রাখাও আছে।’ কিন্তু সেই প্রেমপত্রের জন্য বাড়িতে কি কখনও বকা খেয়েছেন নায়িকা? একরাশ হেসে দর্শনা বলেন, না না বাড়িতে কখনও কেউ জানতেই পারেনি।'
কিন্তু দু'জনেই এখন কাজে খুব ব্যস্ত ফলে এইসব নিয়ে আগের মতো দিনগুলো দারুণ রঙিন না হলেও, চকোলেট ডেতে কিন্তু বরকে চকোলেট দিতে ভোলেননি নায়িকা। যদিও তাঁর কথায়, ‘৩-৪ দিন ধরে ঘুম ঠিকঠাক হয়নি। পর পর জার্নি হয়ে যাচ্ছিল। তো খুব ক্লান্ত হয়ে আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম। কিন্তু ঘুম থেকে উঠে আমার মনে পড়ে গতকাল চকোলেট ডে ছিল তাই সঙ্গে সঙ্গে আমি ওঁর জন্য চকোলেট অর্ডার করি, তারপর সঙ্গে একটা ছোট নোট লিখে আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপর সৌরভ এসে মাঝরাতে সেটা দেখে।’
২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সাতপাকে বাঁধা পড়েন দর্শনা বণিক এবং সৌরভ দাস। 'হৃদয়পুর' নামে একটি ছবিতে কাজ করতে গিয়ে একে অপরের প্রেমে পড়েন তাঁরা।