বড়দিনে সিনেমাপ্রেমী দর্শক দরবারে হাজির ৪টি বাংলা ছবি। তবে সবথেকে বেশি চর্চায় রয়েছে দেব-এর ‘খাদান’ আর রাজের 'সন্তান'। গত ২০ তারিখ ‘সন্তান’ মুক্তির প্রথম দিনেই বৃদ্ধা মা লীলা চক্রবর্তীকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে নিজের ছবি 'সন্তান' দেখতে আনেন রাজ। সঙ্গে এসেছিলেন স্ত্রী শুভশ্রী ও ছেলে ইউভান।
এদিন মা-বউ-এর সঙ্গে রাজকে দেখে এবং তাঁদের সুন্দর পারিবারিক বন্ধন দেখে মুগ্ধ হন সিনেমাহলে উপস্থিত দর্শকরা। দর্শকদের উদ্দেশ্যে রাজ তখন বলেন, ‘আমি এটাই বলব, তোমারা সকলে বাবা-মা বাড়ির সকলকে নিয়ে সন্তান দেখো প্লিজ।’ অন্যদিকে ঠিক সেসময়ই শাশুড়িমাকে গাল টিপে আদর করতে দেখা যায় বউমা শুভশ্রীকে।
এরপর শুভশ্রী জানান, শুভশ্রী বললেন, ‘মাকে নিয়ে ছবিটা দেখলাম, ইউভান আমাদের ড্রপ করতে এসেছিল। তারপর ও চলে যায়। আগে মা হলে গিয়ে রাজের সব ছবি দেখতেন। তবে বাবা চলে যাওয়ার পর মা আর এখন বাড়ি থেকে বের হন না, অনেকদিন পর এলেন। আসলে আমিই জোর করে বলেছিলাম, আজ যদি না যাও, আমিই আর বাড়ি থেকে বের হব না, তাই মা এলেন। ছবি দেখে মায়ের চোখেও জল ছিল, বুঝলাম মায়ের ছবিটা ভালো লেগেছে'।
আরও পড়ুন-‘এই সাফল্যে কিছু মানুষের এত হিংসে কেন?…কাঠি করে কী লাভ!’ ঋত্বিকের আক্রমণে দেবের পাশে বিরসা
এদিন হল ফেরত দর্শকদের সঙ্গে আলাদা করে সেলফি তুলতে, কথা বলতেও দেখা যায় শুভশ্রীকে।
প্রসঙ্গত, রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত 'সন্তান' ছবিতে উঠে আসবে বাবা ছেলের কথা। মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী, ঋত্বিক চক্রবর্তী, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন অহনা দত্ত, অনসূয়া মজুমদার, প্রমুখ।
এদিকে এদিন 'সন্তান' দেখে ভালো লাগার কথা জানান, অভিনেত্রী-নৃত্যশিল্পী মমতা শঙ্কর, অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়, রোশনি ভট্টাচার্যরা। মমতা শঙ্কর বলেন, ‘খুবই ভালো লেগেছে। এটা তো সিনেমা নয়, এটাই বাস্তব। এখন ঘরে ঘরে এই ঘটনা। আর ভালো লাগছে, শুধু ইয়ং জেনারেশনের ছবি নয়, এখানে বয়স্কদের কথাও রয়েছে। এই ছবিটা সব বয়সের মানুষের দেখা উচিত। প্রত্যেকেই কিছু না কিছু পাবেন। এখান থেকে আজকের প্রজন্ম শিখতে পারবেন। এমনকি আমরা যে ভুলগুলো করেছি, আমরাও শিখতে পারব।’
মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘কিছু কিছু ছবি থাকে, যেটা ভাবায়। এই ছবিটা আপনাদের ভাবাবে। সকলকে আয়নার সামনে এনে দাঁড় করাবে।’ রোশনি ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার খুবই ভালো লেগেছে। মানুষকে ধরে রাখার সব রসদই এই ছবিতে আছে। এই ছবিতে সম্পর্কের কথা রয়েছে। এখন সোশ্য়াল মিডিয়া, ফোনের কারণে মানুষের মধ্যে দূরত্ব বরং বেড়েই গিয়েছে। আমার মনে হয়, এই ছবি দেখলে মানুষের মধ্যে দূরত্ব কিছুটা হলেও ভাবাবে বলে মনে হয়।’