বিয়ের পর তাঁদের এটা প্রথম বছর এক্কেবারেই নয়। ২০২০তে বিয়ে, তারপর কেটেছে ৪ বছর। নীল-তৃণাও তাই নব-দম্পতি নন। সে হিসাবে তাঁরা এখন একটু পুরনো। তবু টলিপাড়ার অন্যতম চর্চিত ও পছন্দর জুটি তাঁরা। তাই এবার জামাইষষ্ঠী তাঁরা কীভাবে কাটাবেন তা জানতে 'তৃনীল'-এর অনুরাগীরা আগ্রহী বৈকি। জামাইষষ্ঠীর পরিকল্পনা Hindustan Times Bangla-র সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা।
জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে নীল-তৃণার পরিকল্পনা অবশ্য আর পাঁচজন টলি দম্পতির থেকে একটু আলাদা। জামাইষষ্ঠীর পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে তৃণা জানালেন, ‘আজ আসলে আমাদের কোনও পরিকল্পনা নেই। আমাদের তো যৌথ পরিবার, তাই অনেকে মিলে আমরা এটা সেলিব্রেট করি। আজকে অনেকেরই নানান কাজ আছে, কাল সকাল সকালও অনেকের ব্যস্ততা আছে। তাই আজ কিছু হচ্ছে না। শনিবার রাতে জামাইষষ্ঠীর সেলিব্রেশন হবে। ওইদিন রাতে আমরা সকলে মিলে খাওয়াদাওয়া করব, আড্ডা দেব।’
তৃণা বলেন, ‘আমার অনেক তুতো ভাইবোন। জামাষষ্ঠী মানে প্রায় ২০ জন একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া। সবাই একসঙ্গে পালন করি, সেলিব্রেট করি। তাই এটা আমরা শনিবার কোনও একটা জায়গায় গিয়ে বাঙালি স্পেশাল মেনুতে ডিনারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রত্যেকবার প্রায় তাই হয়। গতবার উইকএন্ড পড়েছিল বলে ওইদিনই সেলিব্রেশন হয়েছিল। আসলে সকলেই তো ওয়ার্কিং, তাই দিনের দিন করা একটু চাপ হয়।’
আরও পড়ুন-জামাই-এর দেখা নেই! উপবাস রেখে অপেক্ষায় কাঞ্চনের শাশুড়িমা, পরিকল্পনা ফাঁস করলেন শ্রীময়ী
জামাইষষ্ঠীর উপহার দেওয়া-নেওয়ার কী পরিকল্পনা রয়েছে?
তৃণা বলেন, ‘নীলের গিফটটা মা নীলকেই জিগ্গেস করে। ওটা নীলের যা লাগবে, সেই মতোই ওদের মধ্যে কথা হয়ে যায়। মা নিজেই নীলকে ভিডিয়ো কল করে কথা বলে নেয়, ওদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে যায়, তাই আমি আর ঢুকি না। মায়ের জন্যও উপহার নীলই কিনবে। ওটার মধ্যেও আমি নেই।’
তবে জামাইষষ্ঠীর দিন বাপেরবাড়ি না গেলও তৃণার মুকুন্দপুরের শ্বশুরবাড়িতে কিছু রীতিনীতি পালত হয়েছে। সেবিষয়ে তৃণা আমাদের জানান, ‘আজ (বুধবার) প্রদীপ, ধান এবং আম সহ অন্যান্য ফল সহযোগে ষষ্ঠীর কিছু রীতিনীতি পালন করা হয়। সেটা আবার আমার শাশুড়িমা মানেন। তাই তিনি সেই রীতিনীতি আমাকে ও নীলকে সামনে রেখে পালন করেছেন। গঙ্গাজল ছড়িয়েছেন, পাখার হাওয়া করলেন। আসলে এই প্রথাটা আমার শাশুড়ির শাশুড়িমা চালু করেছিলেন, তাই উনিও পালন করেন। বাকি এই বাড়িতে শ্বশুরবাড়িতে একসঙ্গে সকলে মিলে খাওয়াদাওয়া করেছি। সেই মেনুটা অবশ্য খুবই সাধারণ, কারণ শাশুড়িমায়ের উপবাস আজ। উনি তো নিরামিষ খাচ্ছেন, ফল খাচ্ছেন। আমরাও তাই চিকেন, ওটস, এসব খেয়েছি। খুবই ছিমছাম খাবার।’