বিয়ের পর রানির দেশে পাড়ি দিয়েছেন বাংলা টেলিভিশনের উড়ন তুবড়ি। ব্রিটেনের ছবির মতো সাজানো শহর সাউথহ্যাম্পটনে সংসার পেতেছেন বাংলা টেলিভিশনে উড়ন তুবড়ি। স্বামী জয়সূর্য সেদেশে চাকরি করেন, সেই সূত্রেই সোহিনীর ব্রিটেন যাত্রা।
গত ২৭শে জানুয়ারি সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন যুগল। বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী সোহিনীর। কিন্তু এদিন কাছে নেই বাবা-মা। এমনকী নতুন জামাইও বঞ্চিত থাকছেন জামাই আদর থেকে। তবে ভার্চুয়াল সেলিব্রেশন তো থাকছেই। ভিডিয়ো কলেই জামাইকে আর্শীবাদ করেছেন সোহিনীর মা। আজকের দিনে আর কী বিশেষ আয়োজন? জানতে হোয়াটসঅ্যাপ কলে সোহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
নতুন জীবনের আনন্দ নায়িকার গলায়। উচ্ছ্বসিত সোহিনী বললেন,'আজ তো কলকাতাকে খুব মিস করছি। বাড়ির সবাইকে, এই সময়টা তো সবার সঙ্গে সেলিব্রেশনের, তবে এই বছর আমরা দূরে'।
দুর্ভাগ্যের বিষয় এই বছর জামাইষষ্ঠীটা উইক ডে। তাই জয়সূর্যর তো অফিস রয়েছে। দুপুরে নয়, তবে রাতে ঘরোয়া একটু আয়োজন করব। মানে মা যেমনটা টিপস দেবে সেই মতো রান্না করব। খুব স্পেশ্যাল কিছু নয়, মা যেমন আয়োজন করত সেটা হবে না। নিজের মতো করে চেষ্টা করব।'
ইউটিউবে ভরসা নেই সোহিনীর, যে কোনও পদ রান্নার সময় ভিডিয়ো কলে মায়ের সহায় হন। বললেন, ‘হ্যাঁ, মা সবটা বলে দেয়। আঁচটা কেমন হবে, কতক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখব পুরোটা মা বলে দেয়। মায়ের ভরসাতেই আমি রান্না করি’।
এদিন বাঙালি সাজপোশাকে সাজার কোনও পরিকল্পনা নেই। সোহিনী বললেন,'ওর ছুটি থাকলে ব্যাপারটা প্ল্যান করা যেত। এখানে প্রচুর বাঙালি থাকেন। সামনে আমাদের বর্ষযাপনের একটা সেলিব্রেশনের প্ল্যান আছে, যেটা নববর্ষে হয়ে ওঠেনি। আগামী সপ্তাহে সেই অনুষ্ঠানটা রয়েছে। ওইদিন শাড়ি পরব, পুরো বাঙালি সাজপোশাক থাকবে ওইদিন। ইউকে খুব সুন্দর, তবে আমি কিন্তু কলকাতকে খুব মিস করছি'।
সাড়ে দশ বছরের প্রেম সোহিনী-জয়সূর্য, তারপর সাত পাক ঘোরেন। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার সোহিনীর বর। রান্নার কাজে জয়সূর্যও হাত লাগায়। কর্তা-গিন্নি মিলে সংসার সামলাচ্ছেন। সোহিনী বললেন, 'মাটনটা ও ভালো করে। আমার হাতে চিকেনটা খেতে ও খুব পছন্দ করে। বিশেষত হেলথি খাবারের মধ্যে চিকেন স্টুটা ওর ফেভারিট'।
বিয়ের জন্য় লম্বা ছুটি নিয়েছিলেন তাই দুর্গাপুজোয় হয়ত কলকাতা আসা হবে না নবদম্পতির। তবে আগামী বছর জানুয়ারিতে কলকাতায় ফিরছেন সোহিনী। শুধু শহরে ফেরা নয়, জলদিই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগতেও ফিরতে চান অভিনেত্রী।