মন খারাপের আবহেই মন ভাঙতে চলেছে ছোট্ট মিহি আর মধুবনীর ভক্তদের। মাত্র ৩ মাসেই এই মেগা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার টিআরপি রিপোর্ট আসতে না আসতেই এই খবর হাতে এল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার।
আগামী ১০ই সেপ্টেম্বর শেষদিনের শ্যুটিং ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’র। এই খবর ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে কলাকুশলীদের কানে। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই মুখ খুলতে না-রাজ কেউ। গৌরী এল-র পর এই সিরিয়ালের সঙ্গে ছোটপর্দায় কামব্যাক করেছিলেন মোহনা মাইতি। কিন্তু মোহনার ঘরে ফেরা এবার সফল হল না। টিআরপি তালিকায় কম নম্বর পাওয়ার জেরেই নাকি দুম করে বন্ধ করা হচ্ছে এই মেগা সিরিয়াল।
গীতা এলএলবি-র বিপরীতে এঁটে উঠা শুরু থেকেই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মোহনার কাছে। তবে ছোট্ট মিহি মানে রাধিকার কিউটনেস শুরু থেকেই সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে। মধুবনী ও ঋকদেবের রসায়নও দর্শকদের নজর কেড়েছে, তবে তার প্রতিফলন টিআরপি তালিকায় সেভাবে ধরা পড়েনি।
সারোগেট মাদার, এই কনসেপ্ট বাংলা টেলিভিশনের ক্ষেত্রে নতুনই বলা যায়। সম্প্রতি টিআরপি বাড়াতে কে প্রথম কাছে এসেছি-র ট্র্যাকে বড় চমক আনা হয়। প্রতিবেশী কন্যের শ্লীলতাহানির জবাবে বঁটি, কাটারি হাতে রুখে দাঁড়ায় মধুবনী-সহ পাড়ার অন্য মহিলারা। ওদিকে ঋকদেবকে ইতিমধ্যেই নিজেদের অতীতের ঘটনাও জানিয়ে দিয়েছে মধুবনী।
বাবা-র অসুস্থতার জেরে ২৫ লক্ষ টাকা জোগাড়ে এক দম্পতির সন্তান ধারণে রাজি হয়েছিল সে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় মিহির বাবা-মা জানতে পারে ভাবী সন্তান ডায়াবেটিক, আরও শারীরিক সমস্যা নিয়ে জন্মাতে পারে সে। তাই মিহিকে অস্বীকার করে ত্যাগ করে তাঁরা। ১০ মাস ১০ দিন মিহিকে পেটে ধরা মধুবনী প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে মিহিকে আপন করে নেয়। তারপর থেকে মিহিই মধুবনীর গোটা জগত। এই গল্প দর্শক মন ছুঁলেও টিআরপিতে পিছিয়ে পড়েছে, তার জেরেই এই অকাল বিদায়।
ওদিকে জি বাংলার আসন্ন মেগা আনন্দীর নতুন স্লট এখনও ঘোষণা করেনি চ্যানেল। এই মেগার ফিরছে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ জুটি অন্বেষা-ঋত্বিক। ১০ তারিখ শ্যুটিং শেষ হলেও কবে শেষ সম্প্রচার কে প্রথম কাছে এসেছি-র তা স্পষ্ট নয়। তবে এই মাসেই বন্ধ হবে এই মেগা সিরিয়াল।