বলিউড তারকা পত্নীদের নিয়ে তৈরি নেটফ্লিক্সের রিয়ালিটি সিরিজ 'ফ্যাবিউলাস লাইভস অফ বলিউড ওয়াইভস' গত কয়েকদিন ধরেই রয়েছে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুকে। করণ জোহর প্রযোজিত এই সিরিজটি গত মাসে মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। সিরিজের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন চার বলি অভিনেতার রিয়েল লাইফ পার্টনার। সঞ্জয় কাপুরের স্ত্রী মাহিপ কাপুর, সোহেল খান-পত্নী সীমা খান, চাঙ্কি পাণ্ডের স্ত্রী ভাবনা পাণ্ডে এবং প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা সমীর সোনির বেটার হাফ নীলম কোঠারি সোনি।
তবে সিরিজ নিয়ে ইতিমধ্যেই দর্শককূল নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। সিরিজের প্রথম এপিসোডে দেখা যাচ্ছে, সোহেলকে সীমার বাড়িতে প্রবেশ করতে। সীমা-সোহেল একসঙ্গে যে থাকেন না, তা সীমার কথোপকথনে বোঝা যাচ্ছে। তিনি পরিষ্কার বলেন, 'সোহেল আমার বাড়ি এসেছিল'। সিরিজের চতুর্থ এপিসোডে দেখা যাচ্ছে, সীমা-সোহেলের ছেলে নির্ভান মার্কিন মুলুক থেকে ফিরেছেন। নতুন সাজানো গোছানো বাড়িতে সীমা নির্ভানকে থাকতে বলছেন এবং বেশি সময় কাটাতে বলছেন। যদিও তাতে রাজি হননি ছেলে। ক্যামেরার সামনে ফ্যাশান ডিজাইনার সীমা খান বলেন, ‘আমি ওঁকে বেশি দেখতে পাই না। ওর বাবার সঙ্গেই থাকে, এখানে শুধুমাত্র ঘুমোতে আসে। এটা ভীষণ অসহ্যকর জিনিস নির্ভানের।'
সোহেল-সীমার বিবাহ সম্পর্কের স্টেস্টাস নিয়ে তারপর থেকেই বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। অনেকের মতেই এই সম্পর্কটি হল ‘ওপেন ম্যারেজ’। সোহেলের বিচ্ছিন্না স্ত্রী সীমা। তাহলে তাঁকে বলিউড তারকার স্ত্রী বলা কতটা যুক্তিযুক্ত?
সীমা এই সিরিজে মন্তব্য করেছেন সোহেলের সঙ্গে তাঁর বিয়েটা 'কনভেনশন্যাল' নয়, নেটিজেনদের প্রশ্ন কনভেনশন্যাল বিয়েটা ঠিক কাকে বলে?
২০১৭ সালে সীমা এবং সোহেলের সম্পর্ক নিয়ে গুজব রটেছিল যে তাঁরা দু'জন আলাদা থাকছেন। যদিও এই নিয়ে খান দম্পতি এর আগে কোনওদিন মুখ খোলেননি। একটা শো'তে সোহেল সম্পর্কে সীমাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি সোহলেকে সবসময় ভালোবাসবেন। তাঁদের পরিবার এক দারুণ পরিবার। সোহেল একজন খুব ভালো বাবা। সন্তান হওয়ার পর থেকে তিনি আরও দারুণ মানুষ হয়ে উঠেছেন। তিনি সোহেলকে ভালোবাসেন, সব সময় ভালোবাসবেন। তাঁদের সম্পর্ক খুব ভালো।
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের পরিবর্তন এসেছে, সম্পর্কও ভিন্ন হয়েছে। তবে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে আমি দুঃখিত নই, কারণ আমাদের সন্তানরা খুশি তাই আমিও খুশি। সোহেল এবং আমার বিয়ের সম্পর্ক সমাজের গতে বাঁধা ছকের মতো নয়। তবে আমরা এক পরিবার। দিনের শেষে আমাদের জন্য আমাদের সন্তানের খুশি খাকাই সব থেকে বড় ব্যাপার'।
সোহেল-সীমা খানের দুই পুত্র নির্ভান খান ও ইয়োহান খান। ১৯৯৮ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন সোহেল-সীমা।