বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Taslima Nasrin: তসলিমা নাসরিন ‘মৃত’! বিরক্ত লেখিকা লিখলেন ‘মরণের পরে’র অভিজ্ঞতা

Taslima Nasrin: তসলিমা নাসরিন ‘মৃত’! বিরক্ত লেখিকা লিখলেন ‘মরণের পরে’র অভিজ্ঞতা

তসলিমা নাসরিন (ফাইল ছবি)

মৃত্যু নিয়ে দু’লাইন লিখেছিলেন লেখিকা। তাতেই ফেসবুক ধরে নেয় তিনি মৃত। এমনই অভিযোগ উঠেছে। 

শাঁওলি মিত্রের মৃত্যুর পরে, তাঁকে নিয়ে একটি লেখা ফেসবুকে লেখেন তসলিমা নাসরিন। সেখান থেকেই জটিলতার শুরু। এর পরেই ফেসবুকের তরফে লেখিকাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে দেওয়া হয়। প্রোফাইলে নামের পাশে বসে যায় ‘রিমেমবারিং’ শব্দ। আর তাতেই ঘাবড়ে যান লেখিকার অনুরাগীরা। 

যদিও বিষয়টি লেখিকা সামলাছেন নিজস্ব ঢঙেই। তিনি বিরক্ত সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন লেখার মাধ্যমে। ‘মরণের পরে’ কী কী হয়েছিল, তাও লিখেছেন বিস্তারিতভাবে। কীভাবে সেখানে থেকে ফিরে এলেন, সেটিও ফেসবুকেই জানিয়েছেন। 

যে লেখা থেকে ঘটনার শুরু, সেখানে তসলিমা লিখেছিলেন, ‘আমি চাই আমার মৃত্যুর খবর প্রচার হোক চারদিকে। প্রচার হোক যে আমি আমার মরণোত্তর দেহ দান করেছি হাসপাতালে, বিজ্ঞান গবেষণার কাজে। কিছু অঙ্গ প্রতিস্থাপনে কারও জীবন বাঁচুক। কারও চোখ আলো পাক। প্রচার হোক, কিছু মানুষও যেন প্রেরণা পায় মরণোত্তর দেহ দানে।’ এর পরেই ফেসবুকের তরফে তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়।

‘জীবন ফিরে পেয়ে’ এর জবাবে তসলিমা ফেসবুকে প্রথমেই লেখেন, ‘পুনরুত্থান’। তাতেই অনুরাগীদের মন্তব্যের ঢল নামে লেখিকার ফেসবুকের দেওয়ালে। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি তসলিমা। এর পরে তিনি লেখেন, ‘জি-হা-দিদের প্ররোচনায় ফেসবুক আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল প্রায় একুশ ঘণ্টা আগে। এই একুশ ঘন্টায় আমি পরকালটা দেখে এসেছি।’ এর পরে পরকালে তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও লিখেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘উনি তো আমাকে হাত ধরে নিয়ে গেলেন, আমার জন্য বিশাল খানাপিনার আয়োজন করেছিলেন। খেয়ে দেয়ে বিশ্রামও নিলাম কিছুক্ষণ। হুরগুলো ঘুরঘুর করছিল পায়ের কাছে। দুটো ফুটফুটে গেলবান আমাকে রূপোর গ্লাসে দ্রাক্ষারস পান করতে দিল। পান শেষ হওয়ার পর উনি এসে বললেন 'যাও সাগরগুলোয় সাঁতরে এসো। একটি দুধের, একটি মদের, আরেকটি মধুর সাগর'। আমি মধুর সাগরে সাঁতরে উঠে এলাম। উনি বললেন, 'একটু দুধ আর মদের সাগরেও সাঁতরাও।' আমি বললাম, ' না না আমি দুধ মদ কোনওটাই তেমন পছন্দ করি না, আপনি যদি বেদানার রসের কোনও সাগর বানাতেন, তাহলে অনেকক্ষণ সাঁতরানো যেত'। উনি বললেন, 'দাঁড়াও, কাল থেকেই লোক লাগিয়ে দেব সাগর খোদার জন্য, বেদানার রসের একটা সাগর আমি বানাবোই'। এরপর উনি আমাকে বেহেস্ত আর দোযখগুলো ঘুরিয়ে দেখালেন । আমার জন্য বেহেস্তের মনোরম যে জায়গাটি বরাদ্দ রেখেছেন, সেটিও দেখালেন।’

তসলিমা লেখা শেষ করেছেন: ‘আমার ডানাওয়ালা ঘোড়াটা দাঁড়ানো ছিল কাছেই। তার পিঠে চড়ে বললাম, 'এ আমার টেম্পোরারি ভিজিট ছিল। এরপর পার্মানেন্ট যখন আসবো, তখন অনেক গল্প হবে, কেমন?' উনির চোখ ভিজে উঠলো। একটি ফ্লাইং কিস ছুড়ে দিলেন।’— এই মর্মে।

 

তসলিমা নাসরিনের ‘জীবন ফিরে পাওয়া’ এবং ‘পরকালের অভিজ্ঞতা’র কথা ইতিমধ্যেই হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বন্ধ করুন