সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে উৎসবে ফেরার কথা বলেছেন। তারপরই টলিউডের যে তারকারা সক্রিয়ভাবে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জড়িয়ে আছেন, নিয়মিত মিছিল, জমায়েতে যাচ্ছেন তাঁরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে এই কথার তীব্র বিরোধিতা করেন। বাদ যাননি সোহিনী সরকারও। তবে মুখে এক কথা বলে চুপিচুপি শপিংয়ে চলে গেলেন তিনি? সত্যিই কি এমন ঘটেছে?
আরও পড়ুন: 'পোস্টটি আর আমাদের মধ্যে নেই', প্রতিবাদে পথে নামার হুমকি দিয়েও পোস্ট ডিলিট! শ্রীজাতকে তুলোধোনা ঝিলমের
কী ঘটেছে?
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী সহ একাধিক তারকারার মতোই সোহিনী সরকার জানিয়েছেন উৎসবে তাঁরা ফিরছেন না যতক্ষণ না আরজি কর কাণ্ডের সমস্ত দোষীরা সাজা পাচ্ছে। এর ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি দোকান থেকে নীল শাড়ি, কনট্রাস্টে সাদা ব্লাউজ পরে, খোঁপায় ফুল লাগিয়ে বেরিয়ে আসছেন সোহিনী। আর এই ভিডিয়ো শেয়ার করেন কিছু ব্যক্তি দাবি করছেন যে সোহিনী নাকি সবাইকে মুখ এক বলে বাস্তবে পুজো শপিং সারছেন। কিন্তু সত্যটা আসলে কি খোঁজ নিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
এই ভিডিয়ো আসলে অনেক পুরোনো। শাড়ির দোকানের বিজ্ঞাপনের জন্য গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। পুরোনো ভিডিয়োকেই বর্তমানের বলে চালানো হচ্ছে।
কী লেখা হচ্ছে সোহিনী সরকারের ভিডিয়োতে?
এই ভিডিয়ো শেয়ার করে অনেকেই লিখছেন, 'সন্ধ্যাবেলায় গড়িয়াহাটে শাড়ি কিনতে এসেছেন সোহিনী। চুপিচুপি পুজোর শপিং ঠিক সেরে ফেলছেন।' কেউ আবার বিদ্রুপের স্বরে লেখেন, ' চুপিচুপি শাড়ি কেনার মতো এবার কি চুপিচুপি কোথায় মা হবেন সেটা ঠিক করবেন?' প্রসঙ্গত কিছুদিন মেডিক্যাল কলেজের একটি গণকনভেনশনে গিয়ে সোহিনী জানিয়েছিলেন তিনি এই দেশে মা হতে চান না। এমন জায়গায় নিজের সন্তানকে তিনি নিয়ে আসতে চান না। অভিনেত্রীর কথায়, 'আমার সদ্যই বিয়ে হয়েছে। আমার স্বামীকে আমি সেদিন বললাম মা হবো? কোন দেশে মা হবো? আমার সন্তানকে পৃথিবীতে এনে এরম দেশে রেখে যেতে আমি চাই না। আমি আমার সন্তানকে এমন একটা দেশে আনতেই পারব না।'
আরও পড়ুন: 'তুমি ভালো খেল...' শ্রীতমার প্রশংসা শুনে লজ্জায় লাল রাহুল! দিদি নম্বর ১-এ রচনার বলা কথা মতো প্রেম করছেন দুজনে?
আরও পড়ুন: ৭৮ এই থামল কণ্ঠ, না ফেরার দেশে দূরদর্শন-আকাশবাণীর সংবাদ পাঠিকা ছন্দা সেন
ফলে এদিন যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সেটা সর্বৈব ভুল এবং মিথ্যে। এটা এখনকার ভিডিয়ো নয়।