২০০০ সালে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল 'মেলা'। ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা গেছিল আমির খান এবং তাঁর ছোট ভাই ফয়জল খান-কে। তবে সুই ভাই মিলেও সেই ছবিকে বাঁচাতে পারেননি। বক্স অফিসে ভরাডুবি হয়েছিল 'মেলা'-র। তীব্র সমালোচনায় এই ছবিকে ভরিয়ে দিয়েছিল ছবি সমালোচকের দল। ছবির এই দশার পর ভাই ফয়জলকে নাকি রাখঢাক না রেখে আমির সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছিলেন অভিনয়টা একেবারেই আসে না ফয়জলের। তাই সে যেন রুজি রোজগারের জন্য এইমুহূর্তে অন্য পথ বেছে নেয়!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে 'মেলা' এবং আমির খান নিয়ে প্রসঙ্গ উঠলে সরাসরি একথা নিজেই জানিয়েছেন ফয়জল। যদিও এর আগে অন্য একটি সাক্ষাৎকারে 'মেলা'-র এই অভিনেতা জানিয়েছিলেন ওই ছবি ফ্লপ হওয়ার পরে তিনি বিভিন্নপ্রযোজক-পরিচালকদের দরজায় ঘুরে ঘুরেও কোনও কাজ পাননি।সেই সময় আমির তাঁকে কোনও সাহায্য করেছেন কি না, এ প্রশ্নের জবাব সম্ভবত আমিরই সবথেকে ভালো দিতে পারবেন। অবশ্য এর পরে রওনক কোটেচার ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে 'মেলা' বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পর তাঁর আর আমিরের মধ্যে কী কথা হয়েছিল তা খোলসা করেই বলেছেন ফয়জল।
আমিরের ছোট ভাইয়ের কথায়, 'মেলা ফ্লপ হওয়ার পর আমাকে সরাসরি দাদা জানিয়েছিল আমার দ্বারা অভিনয়টা একেবারেই আসে না। তাই আমি যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জীবিকার জন্য অন্য পথ বেছে ফেলি চটপট। যদিও পরে জানা গেছিল ওই ছবি ফ্লপ করার পিছনে আরও নানান রকম কারণ ছিল তবু সেই সময় মুখ বুজে সব কথা হজম করেছিলাম। আর দেখুন , যেখানে আমি নিজেই মনে করেছিল আমি ফালতু অভিনেতা সেখানে কী করে ওঁর কাছেই ফের কাজের কথা বলব? কী করে ওঁর কাছে অভিনয়ের সুযোগ চাওয়ার তদ্বির করব?'
যদিও পরে আমির খানের প্রযোজনা সংস্থায় চিত্রনাট্য লেখা, দেখভাল ও ঝাড়াই বাছাইয়ের কাজ করেছেন ফয়জল। বর্তমানে নিজের পরিচালিত ছবি 'ফ্যাক্টরি' নিয়ে দারুণ ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।