বাংলাদেশের ক্লোজআপ ওয়ান তারকা কণ্ঠশিল্পী সাজু আহমেদের হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত তাঁর মা রানিজান বেগম। ‘হত্যার উদ্দেশে হামলা ও গুরুতর জখম’-এই অভিযোগ কুড়িগ্রামের উলিপুর থানায় ছেলের সাজুর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন মা রানিজান বেগম।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) তদন্তের কর্মকর্তা এস আই আনিসুর রহমান মামলা নেওয়ার পাশাপাশি বয়ান রেকর্ড করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘অভিযুক্ত শিল্পী সাজুর বিরুদ্ধে তাঁর মায়ের অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয়। এরপর মামলা রেকর্ড করে অভিযুক্ত সাজুকে গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে। সন্ধান পেলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে'।
২০০৮ সালে বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি আয়োজিত রিয়ালিটি শো ক্লোজআপ ওয়ান তারকার দ্বিতীয় রানারআপ শিল্পী সাজু আহমেদ। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের তেলিপাড়ায়। প্রয়াত আজগর আলি ও রানিজান বেগমের ছোট ছেলে সাজু। ছেলের হামলায় আহত হয়ে মাথায় জখম নিয়ে ৪ দিন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রানিজান বেগম।
আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ আছেন রানিজান বেগম। এদিকে ছেলের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমি সাজুর কঠিন শাস্তি চাই, ওর যেন জেল হয়। এমন ছেলের দরকার নেই যে ছেলে মাকে পেটায়'।
এদিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে মায়ের সুস্থতা কামনা করে পোস্ট করেন অভিযুক্ত সাজু আহমেদ। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ আমার মা-এর জন্য সবাই দোয়া করবেন প্লিজ’। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাজু। এর আগে তিনি দাবি করেছেন, ‘আমি জমির অংশ দাবি করেছি বলে আমার মা ও বড় বোন আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। আমি মায়ের ওপর আঘাত করিনি। বোনের ছোঁড়া ঢিল আমার শরীরে না লেগে মায়ের মাথায় লেগেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে।’
মামলার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে সোমবার রাতে অভিযুক্ত তারকা সাজু আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। উলিপুর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ কবির জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা তাঁকে (শিল্পী সাজুকে) গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক কলহের জেরে ‘সাজুর ছোঁড়া ঢিলে’ (অভিযোগে তাঁর মা উল্লেখ করেছেন) মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে কপাল কেটে যায় তাঁর মা রানিজান বেগমের। পরে স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর কপালে ৮টি সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।