পরম-নীতি কখনোই লোকানো থাকেনি সকলের কাছ থেকে। বরং খুল্লামখুল্লা মতপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা। রবিবার ৪১ বছরে পা দিলেন। টলিউডে নিজের অভিনয় দিয়ে সকলের মন জয় করেছেন। আবার ২০২১ বাংলা বিধানসভা ভোটের আগে অনেকের বিরাগভাজনও হয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে থেকেই পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের নামে উঠে এসেছে সমালোচনা। তবে, সেসবে তিনি থোরাই কেয়ার করেন। বিজেপি নেতা তথাগত রায় থেকে দিলীপ ঘোষ সকলের ভুল ধরিয়ে দিয়েছিলেন প্রকাশ্যেষ ভোট পরবর্তী হিংসা, করোনা চিকিৎসার অব্যবস্থা, করোনা টিকা বাজারে না থাকা নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগেছেন।
‘আমরা অন্য কোথাও যাব না’ গান নিয়ে ভোটের আগে কম বিতর্ক হয়নি। যদিও নিজের রাজনৈতিক মত লোকের সামনে আনলেও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে এখনও দেখা যায়নি তাঁকে। আদৌ ইচ্ছে আছে রাজনীতিতে যোগদানের, সম্প্রতি টাইমস নাউ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরমব্রত জানান, ‘রাজনীতির ময়দানে কোনও দলের হয়ে লড়ব কি না জানি না। তবে, হ্যাঁ আমি মনে করি সাধারণ মানুষের মতো, একজন অভিনেতা, একজন গায়ক, একজন চিত্রশিল্পীর রাজনৈতিক ব্যাপার নিয়ে নিজস্ব মতামত থাকা উচিত। অন্তত দেশের স্বার্থে, দশের স্বার্থে তা প্রকাশ করা উচিত। এতে আমি কোনও ভুল দেখি না। একজন স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সকলেরই সে অধিকার আছে। আর সরকারের বিপক্ষে হোক বা সপক্ষে মুখ না খুললে কী করে বোঝা যাবে তারা সঠিক পথে এগোচ্ছে। এটাই তো বাক স্বাধীনতা!’
২০০২ সাল থেকে বাংলা সিনেমায় চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ফেলুদার তোপশে হিসেবে যেমন সকলের মন জয় করেছেন, তেমনই ‘হেমলক সোসাইটি’, ‘দ্য বং কানেকশন’, ‘চলো লেটস গো’, ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘দ্বিতীয় পুরুষ’-এর মতো ছবি উপহার দিয়েছেন। বলিউডেও পা রেখেছেন ২০১২ সালে ‘কাহানি’ দিয়ে। এরপর ‘গ্যাংস অফ ঘোস্ট’, ‘ইয়ারা সিলি সিলি’, ‘ট্রাফিক’, ‘পরী’-তে অভিনয় করেছেন।