শনিবার ১৯ জুন ৪৫-এ পা দিলেন একালের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক স্মরণজিৎ চক্রবর্তী। নয়া প্রজন্মের বাঙালি লেখকদের মধ্যে স্মরণজিতের জায়গাটা যে বেশ উঁচুতে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতি বছর প্রকাশিত হওয়া তাঁর লেখা বইয়ের কাটতিই একথা প্রমাণ করে। ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের যুগেও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কয়েক রাজ্য দূরে থেকেও তাঁর জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। অনেকটা যেন ওই 'ওল্ড স্কুল' ধাঁচের। ২০০৩ সালে অধুনা লুপ্ত 'উনিশ কুড়ি' পত্রিকায় লেখক হিসেবে স্মরণজিতের আত্মপ্রকাশ। আর নেমেই রীতিমতো ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। মন জয় করে নিয়েছিলেন নয়া প্রজন্মের পাঠকদের। এরপর ধীরে ধীরে ম্যাগাজিনের গন্ডি ছাড়িয়ে প্রবেশ 'উপন্যাস'-এর ময়দানে। সেখানেও ছবিটা এক। 'পাতাঝরার মরশুম','পাল্টা হাওয়া' থেকে 'কম্পাস' ছুঁয়ে 'জোনাকিদের বাড়ি' পর্যন্ত সাহিত্যিকের জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন। অটুট।
তবে লেখালিখি চললেও পৈতৃক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁর অনুরাগীরা তাঁকে এবং এই দিনটি ঘিরে ঘিরে বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকলেও নিজে কোনওদিন জন্মদিন সাড়ম্বরে পালন করেননি তিনি। ছোটবেলায় বাটানগরের ভাড়া বাড়ি থেকে বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাড়ি পর্যন্ত যাত্রায় এই নিয়মের কোনও হেরফের হয়নি। হিন্দুস্থান টাইমসকে জানালেন,' প্রতিবছর জন্মদিন মানেই অভিজ্ঞতার ঝুলি আরও একটু ভারি হলো'। প্রশ্ন ছিল দেখতে দেখতে মধ্য চল্লিশ পার। তা এবারে নিজের জন্মদিনটি কীভাবে কাটাচ্ছেন এই জনপ্রিয় লেখক?
স্মরণজিৎ জানালেন,'বর্তমানে এই কঠিন পরিস্থিতে চারিদিকে মানুষ যখন এত কষ্টে রয়েছেন,তার মধ্যে নিজের জন্য উদযাপন করব কিছু, এই চিন্তাটাই আমার কাছে অকল্পনীয়। এতটা স্বার্থপর হতে পারব না আমি! আর পাঁচটা দিনের মতোই জন্মদিনটা কাটাব।' হেসে আরও জানালেন,' বরং একটা কাজে বেরোচ্ছি এই বৃষ্টির মধ্যে। চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি পারি বাড়ি ফিরে আসার। বাড়ি ফিরে স্ত্রী, মেয়ের সঙ্গেই খাওয়া-দাওয়া, গল্প।এইটুকুই।'
সঙ্গে বললেন নতুন একটি উপন্যাস লেখায় হাত দিয়েছেন।প্রেম,বন্ধুত্ব,অপরাধ ইত্যাদির মিশেলে তৈরি হচ্ছে সেই উপন্যাস। ছলতি বছরে পূজাবার্ষিকীতে প্রকাশিত হবে। ইতিমধ্যেই 'চুয়ান্ন' উপন্যাসটি জমা দিয়েছেন প্রকাশকের কাছে। করোনা পরিস্থিতি ঠিক হলে তা বই হিসেবে প্রকাশিত হবে। টুকটাক লেখা চলছে কবিতাও। বক্তব্যের শেষে 'মোম কাগজ'-এর লেখকের সংযোজন,' পাঠকদের জন্যই আজ আমার যতটুকু এই নাম। আমি কৃতজ্ঞ।'