সম্প্রতি গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে হকার উচ্ছেদ। স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় হাত পড়েছে দোকান মালিকদের। 'ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে হবে'-র নির্দেশে এক প্রকার ঘুম উড়েছে তাঁদের। এবার এই বিষয় নিয়ে জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুড বা রাস্তার পাশের বিখ্যাত ভাতের দোকানের মালিকরা কী বলছেন?
আরও পড়ুন: বিয়ের মাস ঘুরতে না ঘুরতেই প্রিয়জনকে হারালেন কৌশাম্বি, কার জন্য লিখলেন, 'আমায় এবার কে বুঝবে...'?
হকার উচ্ছেদ নিয়ে কী বলছেন সাগর, নন্দিনী দিদিরা?
ফুড ব্লগারদের দৌলতে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার ট্রেন্ডে আজ অনেক রাস্তার ধারের খাবারের দোকানের লোকেশন এবং মালিকরা পরিচিত। এঁদের মধ্যে অবশ্যই নাম করা যেতে পারে রাগী মাসি, নন্দিনী দিদি, সাগর, প্রমুখদের। তাঁরা সকলে এই হকার উচ্ছেদের বিষয়টা নিয়ে কী ভাবছেন, বা কীভাবে বিষয়টা দেখছেন জানালেন।
রাস্তার ধারে হারমাশ কালি করে সারাদিন হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে খদ্দেরদের মুখে খাবার তুলে দেন তাঁরা। আর দোকানের সেই আয় দিয়েই চলে তাঁদের সংসার। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এভাবে হকার উচ্ছেদ দেখে মনে আশঙ্কার মেঘ উঁকি দিয়েছে তাঁদের। নন্দিনী দিদি এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে জানিয়েছেন, 'দোকানটাই যদি না থাকে আগামী দিনে খাব কী? কোথায় যাব? আমাদের দিকটাও তো ভাবা উচিত। এই দোকানই তো সব আমাদের। সরকারের কাছে আবেদন করব যাতে আমাদের কিছু ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।'
রাগী মাসি জানিয়েছেন তিনি আগের তুলনায় রান্না করা কমিয়েছেন। কম পরিমাণে রান্না করছেন কারণ অনেকের থেকেই মাসিক টাকা নেওয়া আছে তাঁর। হোটেল তিনি বন্ধ করবেন না, তাহলে তাঁর চলবে না।
আরও পড়ুন: 'ওঁর কন্ঠ রোধ করা যাবে না...' এবারের পেন পিণ্টার প্রাইজ পাচ্ছেন অরুন্ধতী রায়
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশে ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন রাসবিহারী গড়িয়াহাট অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার দোকানের মালিক সাগর। তিনি জানিয়েছেন, 'আমি পজিটিভ দিকটাই দেখি। প্রশাসন হয়তো আমাদের ভালোর জন্যই এটা করছে। মুখ্যমন্ত্রী হয়তো চাইছেন পরবর্তীতে আমরা যেন আরও বেশি করে গুছিয়ে দোকান করতে পারি।'
তবে সম্প্রতি নতুন করে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এক মাস সময় দেওয়া হবে। হকারদের তিনি বেকার করে দিতে চান না। তবে ফুটপাথ দখল মুক্ত হোক সেটা তিনি চান। তবে দুটো দিক একসঙ্গে কীভাবে বজায় রাখা হবে সেটা এখনই সুস্পষ্ট নয়।